হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারসহ কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে বাজারজাতকরণের দাবি জানিয়ে ঈশ্বরদীতে ‘কৃষকবন্ধন’ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কৃষক নেতারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদীর সবচেয়ে বড় সবজি আড়ৎ মুলাডুলিতে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির নেতারা এই কর্মসূচীর আয়োজন করেন। কর্মসূচীতে কৃষি কাজের বিভিন্ন উপকরণ হাতে নিয়ে শত শত কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ও জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ ওরফে কুল ময়েজ বলেন, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে হরতাল-অবরোধ করে কৃষি পণ্য তথা কৃষককে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে।
২০১৪ সালে টানা হরতাল-অবরোধ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষিখাত। পরে করোনাকালীন সময়ে মূখ থুবড়ে পরে দেশের কৃষি ও অর্থনীতি। বর্তমান সরকারের নানামূখি পদক্ষেপে কৃষিখাতের ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকরা মাঠে কঠোর পরিশ্রম করছেন।
কৃষকদের ব্যাংক থেকে কোন ঋণ দেওয়া হয় না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এনজিও এর সুদসহ ঋণের কিস্তি দিতে আজ কৃষক সমাজ হিমসীম খাচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে হরতাল আর অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করেছে বিরোধী রাজনৈতিক জোট। এতে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের কৃষক সমাজ।
কৃষি খাতে শুধুমাত্র ঈশ্বরদীতেই প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম করে কৃষক ও কৃষি পণ্যকে জিম্মি করে রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় যায়, তারা লাভবান হয়। আর ক্ষতিগ্রস্থ হয় কৃষক।
হরতাল অবরোধে কৃষি পণ্য নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেওয়া না হলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিবে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের কোটি কোটি কৃষক। যার প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
অনুষ্ঠিত ‘কৃষকবন্ধন’ কর্মসূচীতে কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মুলাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান ও বড় চাষী আব্দুল খালেক মালিথা, জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক জাহিদুল ইসলাম ওরফে গাজর জাহিদ, জাতীয় পদকপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী হাবিবুর রহমান ওরফে মাছ হাবিব, পদকপ্রাপ্ত কৃষাণী বেলী বেগম, রেজাউল করিম রেজা, শাহিনুজ্জামান, খোরশেদ আলম প্রমূখ। বক্তারা অবিলম্বে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
এইচআর