রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চলতি মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও বাজারদর কিছুটা বৃদ্ধির ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সেই সঙ্গে সোনালি ফসল ঘরে তুলতে কার্তিকের শুরুতে এবারে কৃষকের ঘরে ঘরে বইছে নবান্নের আগমনী বার্তা। তাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ডালা-কুলা-চালন ও ডোল কেনার ধুম পড়েছে।
উপজেলার ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষিজীবী তাই যে যেভাবে পারছে সামনের ধান কাটা-মাড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হাট-বাজারে ভীড় করছেন কৃষাণীদের পছন্দের ডালা-কুলা-চালন ও ডোল কিনতে।
তকিপল হাটে কুলা নিতে আসা রাজিব ও শফিকুল জানান, সামনেই পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটামাড়াই ও নবান্ন উৎসব। তাই আগে ভাগেই ধান কাটা-মাড়াইয়ের জিনিসপত্র কিনছেন তিনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কয়দিন পর দাম বাড়বে।
ডালা-কুলা আর চালন কিনে হাটের পাশে বসে থাকা হরিচরনলস্কর গ্রামের আ. গফফার জানান, বাড়ির বউ-ঝি কাটামাড়ির কাজ করবে। তাই ওদের খুশি করতেই আগাম কেনা।
তিনি জানান, গত বোরো মৌসুমে সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনলেও আমাদের ধান বেঁচতে হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা কেজি। গত কয়েক দিন ধরে ধানের দাম ভালো তাই আমরা খুশি।
তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে ধানের মন ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। এই দাম থাকলে এবার আর ধানে তেমন লোকসান হবে না। বাঁশের পণ্য বিক্রেতা আ. রশিদ জানান, বাঁশের দাম কম তাই এবারে বাঁশের তৈরি কৃষিপণ্যেরও দাম কম। তবে চাহিদা বেশি। কারিগর না থাকায় আমরা কৃষিপণ্য বাজারের চাহিদা মত দিতে পারছিনা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন জানান, উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধাণের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১১৪৫৮ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে খরিপ-২ মৌসুমে ২৮৩০ হেক্টর জমিতে স্বল্পমেয়াদী হাইব্রিড ও উপশী রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবারে আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে, বাজারে ধানের চাহিদাও ভালো, তাই এবারে কৃষকরা ধানে লাভবান হবেন।
এআরএস