চুয়াডাঙ্গায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবু হুরায়রা হত্যা মামলায় এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় অপর দুই আসামিকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ মোমিন (২৩) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে পারভেজ আহম্মেদ (২৮) ও জামাত আলীর ছেলে আশরাফুজ্জামান রিজন (৩০)। এর মধ্যে আসামি পারভেজ আহম্মেদ পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়ে নিখোঁজ হয় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের আব্দুল বারেকের একমাত্র ছেলে ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবু হুরায়রা (১১)।
কয়েক দিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি বাদী হয়ে মোহাম্মদ মোমিনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আবু হুরায়রার বাবা আব্দুল বারেক। পরে অভিযান চালিয়ে মোমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে তালতলা নামক কবরস্থানের একটি পুরাতন কবর থেকে শিশু আবু হুরায়রার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট মোহাম্মদ মোমিন, পারভেজ আহম্মেদ ও আশরাফুজ্জামান রিজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন জানান, ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ দুপুরে ওই রায় দেন বিচারক। তাদের মধ্যে আসামি পারভেজ আহম্মেদ পলাতক রয়েছেন। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এইচআর