ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলারের দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। অকালেই প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে।
সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল বহন, গাড়ি চালানোর সময়ে চালকের মোবাইল ফোনে কথা না বলা, চালকের পাশে লোক না বসানো, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি না চালানো, থ্রি-হুইলার মহাসড়কে (না ওঠা) না চালানোর জন্য সরকার আইন করেছে। মহামান্য হাইকোর্টও জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দিলেও একাধিক বার পদক্ষেপ নিলেও অদৃশ্য কারণে বন্ধ হচ্ছে না ধারন ক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত মালামাল বহন, গাড়ি চালানোর সময়ে চালকের মোবাইল ফোনে কথা বলা, চালকের পাশে লোক বসানো, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং মরণ ঘাতক থ্রি-হুইলার। ঢাকা খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সীমানায় অবাধে আইন অমান্য করে চলছে থ্রি-হুইলার।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ জেলার প্রায় ৬০ কিমি. রাস্তার সর্বত্রই একই চিত্র। বিশেষ করে থ্রি-হুইলার নছিমন, করিমন, অটোবাইক, ইজিবাইকের দৈরাত্ন্য দিন বেড়েই চলছে। এতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এসব দুঘর্টনায় শ্রমিক, আইনজীবি, পুলিশ, ডাক্তারসহ অনেককে প্রাণ হারতে হয়েছে। অকালে ঝরে গেছে শতাধিক মানুষের প্রাণ।
সরকার এতো আইনকানুন, নিয়ম করার পরেও কেন এসব নিষিদ্ধ যানবাহন মহাসড়কে অবাধে চলাচল করে? আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলোর সামনে প্রকাশ্য কি ভাবেই বা থ্রি-হুইলারগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এনার্জী পার্কের (তেল পাম্পের) মালিক আলহাজ মুন্শী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমরা যারা প্রাইভেট গাড়ীতে যাতায়াত করি থ্রি-হুইলারের আতংকে থাকি। কখন গাড়ির সঙ্গে থ্রি-হুইলারগুলো লাগিয়ে দেয়। থ্রি-হুইলারগুলো নিজেরা অবৈধভাবে আইন অমান্য করে মহাসড়কে চলাচল করে এবং বৈধ যানবাহনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়।
বাস চালক মো. শওকত আলী জানান, থ্রি-হুইলারগুলো খুব সমস্যা করে। তারা সুযোগ পেলেই রাস্তার মধ্যে দিয়ে চলাচল করে। অন্যদিকে রয়েছে মহাসড়কে দুরপাল্লার পরিবহন বাসের বেপরোয়া গতি। এসব কারণেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুঘর্টনার সংখ্যা, আর এ সব দুঘর্টনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলার সহকারি পরিচালক (ইঞ্জিন) মো. আবুল বশার বলেন, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এদের কোন রেজিষ্ট্রেশন নাই। তারপরও কেন তারা কিভাবে মহাসড়কে চলাচল করে। পুলিশ তাদের কেন মহাসড়কে উঠতে এবং চলাচল করতে দেয় আমার জানা নাই।
তিনি আরও বলেন,থ্রি-হুইলার গাড়ির কোনা রেজিস্ট্রেশন নাই। এসব গাড়ি নিষিদ্ধ। আজ পর্যন্ত কেউ আমার অফিসে থ্রি-হুইলার রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে আসেনি। এসব গাড়ি অনুমোদিত হলে আমরা মহাসড়কে উঠতে পারবে না একথা কাগজপত্রে লিখে দিতাম।
এআরএস