গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে রওনা হয়ে পথে গ্রেপ্তার হন ফেনী জেলা যুবদলের সিনিয়র সদস্য ও সদর উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক আতিকুল ইসলাম মামুন।
পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আর কারাগারে থাকা অবস্থায় ফেনী শহরের ইসলামপুর রোডস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে বিস্ফেরণের ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় তাকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তারের পাঁচ দিন পর সংগঠিত ঘটনার মামলায় তাকে আসামি করায় পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক রাস্তার মাথা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ফেনী জেলা যুবদলের চার নেতাকে আটক করে পুলিশ।
এদের মধ্যে আতিকুল ইসলাম মামুনও রয়েছেন। ৩১ অক্টোবর শহরের ইসলামপুর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশের ভাষ্য, তারা এগিয়ে গেলে বিক্ষোভকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে।
ঘটনার পরদিন ১ নভেম্বর ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বাদি হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এদের মধ্যে ১৯ নং ক্রমিকে আতিকুল ইসলাম মামুনের নাম রয়েছে।
কারাগারে থাকা অবস্থায় মানুন কীভাবে বিস্ফোরণ মামলার আসামি হলেন সেই প্রশ্নের জবাবে মামলার বাদি ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, কোন মামলায় কে আসামি এটা সাংবাদিকদের জানার দরকার নাই।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা প্রত্যেকটি মামলাই ভূয়া অভিযোগে করা। ২৮ অক্টোবর থেকে ফেনীর পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৩টি মামলা করেছে।
এসব গায়েবি মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম-আহ্বায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন জসিম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খন্দকারসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এআরএস