চলন বিলে ধানের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ০১:১৬ পিএম
চলন বিলে ধানের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

শষ্য ভান্ডারখ্যত সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় প্রবাহমান চলন বিলের প্রতিটা গ্রামের কৃষকরা রোপা ও আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি উপজেলার চাষিরা।

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার চলন বিলের তাড়াশে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্য ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছে কৃষকরা। বাজারে ধানের ভালো দামে চাষির স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। 

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি বছর বোনা ও রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণ চলনবিল এলাকায় র্বষা মৌসুমে জমিতে প্রচুর পলি পড়ায় জমি র্উবর হয়। ফলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়, এবারও তাই হয়েছে।

উপজেলার আট ইউনিয়নের উঁচু এলাকায় রোপা আমন ধান ও নিচু এলাকায় বোনা আমন ধানের চাষাবাদ করেন কৃষকেরা। চলতি বছর উপজেলায় বোনা আমন ধানের আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে।

অপরদিকে, উপজেলায় রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ৬৯২ হেক্টর জমিতে।

কৃষি অফিস জানায়, তাড়াশ উপজেলায় চলতি বছর হাইব্রীড ১১০০ জাত, ৪ জাত, ৬ জাত, এরাইস ৭০০৬ জাত, বিআর-২২, ব্রি ৩৪, ৩৬, ৩৯, ৪৯, ৫১, ৫২, ৭৫, ৮৭, ৯০, ৯৩, ৯৫, বিনা ধান ৭, ১৭, ২২, স্বর্ণা ও কাটারীভোগ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।

২নং বারুহাস ইউনিয়নের বদ্যনাথপুর গ্রামের ধানচাষি মো. মোজদার জানান, গতবার বোরো মৌসুমে ১৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। এবার পুরো ১৪ বিঘা জমিতে রোপ ধান চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে এবং আল্লাহর রহমতে এ ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে।

উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ব্রজেন্দ্রনাথ সরকার জানান, চলতি বছরে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বিঘা প্রতি ১৬ মণ থেকে ১৮ মণ হারে ধান পেয়ে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, তাড়াশ উপজেলায় কৃষকেরা রোপা  ও বোনা ধান কাটা শুরু করেছেন। এবছর ফলনও হয়েছে বাম্পার। এছাড়া ধানের দাম বেশি পেয়ে কৃষকরা খুব খুশি।

এআরএস