বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলোর সমর্থনে অবরোধের শুরু থেকে খাগড়াছড়ি ঢাকা-চট্রগ্রামসহ খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল ও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে প্রশাসনের অবস্থানের কারণে। অবরোধকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার মোকাবেলায় সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) অবরোধকে কেন্দ্র করে যে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার মোকাবেলা করতে ভোর থেকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্রগ্রাম সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে পুলিশ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। দূর পাল্লার যান বাহন চলাচল করেছে।
খাগড়াছড়ি পৌর বাস টার্মিনাল ছোট হওয়াতে পর্যাপ্ত পরিমান যানবাহন রাখা যায়না। অবরোধের কারণে গাড়িগুলো শহরের রাস্তার দু`পাশে এলোমেলো অবস্থা থাকার কারণে একদিকে রাস্তায় যানজোট সৃষ্টি অন্যদিকে যেকোনো মুহূর্তে অবরোধ সমর্থকদের পিকেটিং এর কারনে যানবাহন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই গাড়িগুলি নিরাপদ স্থানে রাখার জন্য খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)এর সার্বিক দিক নিদের্শনায় বাস মালিক সমিতি ও জেলা ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় খাগড়াছড়ি বিসিক শিল্পনগরীর খালি জায়গায় গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে রাস্তা কোন যানজোট সৃষ্টি হবে না। অন্যদিকে শহরের রাস্তার নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার বলেন, খাগড়াছড়ি সর্তকতার সাথে কাজ করছে জেলা পুলিশ। সব ধরনের চিন্তা মাথায় রেখে সাধারন মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা যেন ব্যাঘাত না ঘটে সে লক্ষ নিয়ে পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে। অবরোধে যেকোন ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ভোর থেকেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নাইটকোচ গাড়ি পুলিশের পাহারায় খাগড়াছড়ি নিরাপদ পৌঁছানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সড়কের সব পয়েন্টে আমাদের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেখানে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে কারো জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়। সব মিলিয়ে খাগড়াছড়ি অবরোধের কোন প্রভাব পড়েনি। জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান।
এইচআর