সাভারের চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক রমজান আলী (৪৮) হত্যাকান্ডে মূলহোতা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে একটি খেলনা পিস্তল, টাকা ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় আশুলিয়ার নবীনগরস্থ র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- রাজু (৩০), মহসিন (৪০), নূর আলম (২৮), ইসমাইল (২০) ও আক্তার (১৯)। তারা সবাই ভোলা জেলার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৮ অক্টোবর সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় একটা অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই মৃতদেহটি অটোরিকশা চালক রমজান আলীর বলে সনাক্ত হয়। যাকে হত্যা করে তার একমাত্র আয়ের উৎস অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা রাজু সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই সহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে কৌশলে যাত্রীসেজে অটোরিকশায় উঠে সুযোগবুঝে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিত। ক্ষেত্র বিশেষ চালককে মারধরসহ হত্যা করে লাশ নির্জন স্থানে ফেলে রেখে যেত।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে যে, গত ৮ অক্টোবর সাভারের হেমায়েতপুর থেকে হত্যাকান্ডের মূলহোতা রাজু ও তার সহযোগী ইসমাইল যাত্রীবেশে রমজান আলীর অটোরিকশায় উঠে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভাকুর্তা কাইশার চর এলাকার একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়৷
সেখানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা অপর সদস্যদের সহায়তায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এতে চালক রমজান আলী আত্মরক্ষার্থে ও আয়ের একমাত্র অবলম্বন রক্ষার্থে ডাক চিৎকার শুরু করে। এসময় তারা তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ সেখানে ফেলে রেখে সাথে থাকা অটোরিকশা, টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এইচআর