হঠাৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসন থেকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন একরামুজ্জামান সুখন। তার দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করেন বিএনপি। এবার তার বহিস্কারে বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে একরামুজ্জামান বলেন, এটা একটা স্বাভাবিক নিয়মেই হয়েছে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করতে চাইলে ওনারা এভাবেই বহিষ্কার করে। সবাইকেই করে। আগেও করেছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। আমার এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই।
তবে আমার নিজের সিদ্ধান্তেই আমি নির্বাচনে যোগ দিয়েছি। হয়তো দলের সিদ্ধান্ত অন্যরকম ছিল। অনেক সময় তো মানুষ একাও চলে। কোনো কারণে আমি মনে করেছি, নির্বাচন বর্জন করাটা আমার জন্য কিংবা আমার এলাকার জনগণের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। এজন্য আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আমার দল বিএনপি এটা এড়িয়ে গেলেও পারত। বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে। আমি বিএনপি থেকে বের হয়ে আসিনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার উপরে কোন ধরনের চাপ ছিল কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এটাকে চাপ বলব না, তবে আমাকে বিভিন্ন সরকারি মাধ্যম থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আপনারা যারা এলাকায় জনপ্রিয় ব্যক্তি আছেন আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন,পরে এটা প্রমাণ হবে। দেখি কী প্রমাণ হয়।
২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলর সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
জানা গেছে তিনি ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগর আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। তবে এর আগেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘কুলা’ প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে একরামুজ্জামানের বহিস্কার আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এবারের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহন নিয়ে এলাকার জনগণের মাঝে শুরু হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন।
এইচআর