গোপালগঞ্জে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

সেলিম রেজা, গোপালগঞ্জ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩, ১১:১৭ এএম
গোপালগঞ্জে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বাজুনিয়া গ্রামে রাস্তারপার্শ্বে  কৃষি জমিতে অনুমোদনবিহীন কারখানা স্থাপন করে পুরাতুন ব্যাটারী পুড়িয়ে অবৈধভাবে সীসা সংগ্রহ করছে। এই অবৈধ কারখানাটির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী। অনুমোদনহীন কারখানায় পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা সংগ্রহ থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় কারখানাটির আশেপাশের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন।

পাশাপাশি মাঠের বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। কারখানাটির সৃষ্ট ধোঁয়ায় পরিবেশের চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে আশে-পাশের কয়েকটি গ্রামে। প্রতি রাতে ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা সংগ্রহের জন্য চুল্লির নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় অনেক স্থানে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। দুর্বিষহ হয়ে উঠছে আশপাশের  গ্রামের হাজার হাজার মানুষের জীবন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাউন্ডারি ওয়ালের ভিতর দুইপাশে টিনের বেড়া দিয়ে  প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ জমির উপর নির্মিত অবৈধ কারখানা স্থাপন করে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা সংগ্রহের কাজ চলছে। ২৫ থেকে ৩৫ বছরের ১০/১৫ জন শ্রমিক প্রতিদিনের ন্যায় আনুমানিক রাত ৯টার পর থেকে কোনো প্রকারের নিরাপত্তা ছাড়াই আগুন জালিয়ে পুরাতন ব্যাটারি পোড়ানোর কাজে ব্যস্ত।

স্থানীয় পলাশ শেখ বলেন, এই এলাকার মাওলানা হাবিবুর রহমানের জায়গায় পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা সংগ্রহের কাজ চলছে। সাধারণত আনুমানিক রাত ৯টার পর থেকে তারা কারখানার কাজ চালু করে। কারখানা চালু করলেই বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

কারখানার অনুমোদন বিষয়ে কারখানা পরিচালনার দায়িত্বরত বগুড়ায় বাড়ি মো. আলম বলেন, আমাদের অনুমোদন নেই, অনুমোদন ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার কারখানায় ব্যাটারি গলিয়ে সীসা তৈরি করছে। 

পরিবেশ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. মাহফুজ বলেন, এই সীসা সংগ্রহের কারখানার বিষয়টি আমি জানি না বা কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি এখন জানলাম কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দীন জানান, কারখানার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এখন জানলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এআরএস