নাগরপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৩, ০১:৫২ পিএম
নাগরপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক (বীর প্রতীক), যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার, নাগরপুর উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন, দেলদুয়ার উপজেলা আ.লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার ছানা, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস আলী, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর বাংলার সূর্য সন্তানেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে নাগরপুর উপজেলাকে মুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো নাগরপুর উপজেলা। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে মুক্তিবাহিনীর বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৃথক বাহিনী গড়ে উঠে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনী ও বাতেন বাহিনী অন্যতম। এ দুই বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের কাহিনী সে সময় দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সারাদেশের মতো হানাদারদের দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত টাঙ্গাইলের সর্ব দক্ষিণে ধলেশ্বরী নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন নাগরপুরকে শত্রু মুক্ত করতে কাদেরিয়া বাহিনী ও বাতেন বাহিনী বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও চূড়ান্ত সফলতা পেতে সময় লেগে যায় ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এআরএস