দেশের সর্বত্র ৪০ কেজিতে একমন হলেও শুধুমাত্র ধান ক্রয়-বিক্রয়ে এলাকা ভেদে ৪৯ থেকে ৫০ কেজিতে মন ধরা হয়। যা খবুই অমানবিক ও বেদনাদায়ক। এছাড়া জাতীয়ভাবে কৃষকের ধানের দাম মন প্রতি ১৫০০ টাকা ধরাসহ একাধিক দাবীতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতি’র সভাপতি জিএম মাহবুবুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, পাঁকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে উপজেলার কৃষকরা। এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুঁটে উঠেছে তাদের মুখে। তবে, স্থানীয় একদল সিন্ডিকেট চক্র কৃষকদের নিকট থেকে ৪০ কেজির পরিবর্তে ৪৯ থেকে ৫০ কেজিতে ধান ক্রয় করছে।
এতে স্থানীয় কৃষকরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অথচ ধানের দাম আশানুরুপ নয় বলে হতাশ হয়ে পরেছে একাধিক কৃষক। মন প্রতি খরচ আর প্রাপ্ত মূল্যে লোকসানের হিসাব কষছেন তারা। এদিকে, ন্যায্য মূল্যে সাড়সহ ধানের দাম মনপ্রতি ১৫০০ টাকা নির্ধারন করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে তা ক্রয়, ধান সংরক্ষনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে গোডাউন নির্মান, কৃষি উপকরনের সুলভ দাম নিশ্চিত করে পল্লী রেশন ও শষ্য বীমা চালু করন, কৃষি উপকরনের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গা, আদীবাসীদের ভূমির অধিকার ও জীবন জীবিকা নিশ্চিত করন, পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম হয়রানী দূর্নীতি বন্ধ করন, ষাটোর্ধ্ব বয়সের কৃষকদের জন্য পেনশন চালু করন, প্রাণ প্রকৃতি-জীব বৈচিত্র ও কৃষি রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনসহ প্রভৃতি জাতীয় সমস্যা সমাধান করতে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি খেপুপাড়া শাখা’র সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার সদস্য কমরেড নাসির তালুকদার, সহ-সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন), নীলগঞ্জ ইউনিয়ন আহবায়ক মো. আবুল কালাম কাজি, বাংলাদেশ খেত মজুর সমিতি কলাপাড়া উপজেলা শাখার আহবায়ক প্রভাষক মো. রফিকুল ইসলাম ও কৃষক মো. আলমসহ ইরেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এইচআর