গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও পিরুজালী-ভাওয়ালগড়-মির্জাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের পথসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসির (নৌকার) কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
মাওনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নছু ভুইয়া বলেন, আনন্দবাজার এলাকায় কোনো ট্রাক চলবে না বলে হামলাকারী নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা পথসভার চেয়ার ভাংচুর এবং উপস্থিত কর্মীদের মারধর শুরু করে। এসময় হামলাকারীরা ট্রাক মার্কার পোস্টার ও লিফলেট ছিঁড়ে এবং চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী আহত মাসুদ বলেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা হঠাৎ পথসভায় উপস্থিত হয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে তাঁদের এলাকায় কোনো মিটিং করা যাবে না।
আহত নুরুল ইসলাম বলেন, নৌকা প্রতিকের আবুল কাশেম, হারুন, রুবেল এবং ফজলুল হকের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন কর্মী-সমর্থক লাঠিসোটা নিয়ে পথসভার প্যান্ডেলে হামলা করেন। তারা পথসভায় আসা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদেরকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় এবং চেয়ার টেবিল ছুড়ে ফেলেন।
অভিযুক্ত ফজলুল হক, আবুল কাশেমসহ অন্যান্যরা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অপর অভিযুক্ত হারুনের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এছাড়া মাওনা ইউনিয়নের কাওরান বাজার, শিমলাপড়া, শিরিশগুড়ী, আক্তাপাড়া পথসভায় হামলার অভিযোগও করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। এসব ঘটনায় অন্তত ৪/৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ওয়ার্ড (শিমলাপাড়া বাজার) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মাসুদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম। তাঁরা প্রত্যেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন বলেন, হামলার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কোনো ঘটনা না ঘটায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এআরএস