আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় প্রার্থীদের পাশাপাশি সহধর্মিণীরাও মাঠে নেমেছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর নোয়াখালী রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর প্রচারণায় নামেন প্রার্থীরা। দিনের পাশাপাশি রাতেও প্রার্থী ও তাদের লোকজনকে ভোট চাইতে দেখা যায়। প্রচারণার পাশাপাশি ডিজিটাল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও সরব দেখা গেছে প্রার্থীদের। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নে নৌকা মার্কায় স্বামীর জন্য ভোট চান দ্বীপ নেত্রী আয়েশা ফেরদৌস (এমপি)। আজ চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের উঠান সমাবেশে নৌকা মার্কার সমর্থনে প্রচারণার অংশ হিসেবে নৌকার মনোনীত প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ভোট চাইলেন হাতিয়া দ্বীপের এই মহিলা নেত্রী।
এছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, প্রচারণার অংশ হিসেবে সড়কে দড়িতে ঝুলছে প্রার্থীর ছবি, প্রতীকসহ সাদা-কালো পোস্টার। সড়ক সংলগ্ন দেয়াল, পিলার ও গাছেও পোস্টার শোভা পাচ্ছে। তবে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল মার্কায় প্রার্থী থাকলেও নৌকা ছাড়া জাতীয় পার্টির পোষ্টার তেমন একটা দেখা যায়নি।
এদিকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ইউনিয়নে নৌকা মার্কার সমর্থনে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান রয়েছে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল বিতরণ ছাড়াও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভিডিও কনটেন্ট, পোস্টার আপলোডের মাধ্যমে প্রচার।
উল্লেখ্য, গত সাংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা হাতিয়ায় নৌকা মার্কায় জয় লাভ করেন আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী সাহেবের সহধর্মিণী জ্বনাবা আয়েশা ফেরদৌস (এমপি)। তবে এইবার স্বামীর জন্য হাতিয়া ৬ আসন ছেড়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটে স্বামীর জন্য নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন এই নেত্রী।
এআরএস