নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ওটমা এলাকায় আজ দুপুরে জমি ও পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রবাসীর স্ত্রী শামসুন্নাহারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নগদ টাকা সহ স্বনালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার সন্ত্রাসী রুহুল আমীন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী শামসুন্নাহার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন ওটমা এলাকার মৃত রশিদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ চাকুরীর সুবাধে সৌদি আরব থাকেন। স্বপন মিয়ার স্ত্রী সামসুন্নাহার সে তার ছেলে-মেয়ে নিয়ে স্বশুরবাড়ীতে ওটমা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বিবাদী রুহুলআমিন তার স্ত্রী ও তার ভাই ভাতিজি এবং ভাবীকে নিয়ে একই বাড়ীতে বসবাস করবে বলে তারই সহোদর বড় ভাই স্বপন মিয়া ও তার স্ত্রী সামসুন্নাহারের নিকট হইতে রুহুলআমিন ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ী নির্মান করে সেই বাড়ীতে সকলেই বসবাস করে আসছে। গত ৩/৪ মাস পূর্ব হতে সামসুন্নাহারকে বাড়ী হতে বের করে দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক চাপ দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। সামসুন্নাহার এতে প্রতিবাদ করিলে আজ ২৬ শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে এগারটার দিকে রুহুল আমীন ওরফে রাহাত, তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন সহযোগী তাদের হাতে থাকা লোহার রড, দা, চাপাতি, কাঠের লাঠি সহ দেশীয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে সামসুন্নাহারকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। এসময় বিবাদীরা পড়নের জামা কাপড় টানা হেচড়া করিয়া নগদ টাকা সহ পরিধেয় স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
আহত সামসুন্নাহারকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে প্রবাসীর স্ত্রী সামসুন্নাহার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বাদী সামসুন্নাহার বলেন, হত্যার উদ্যেশে আসামিরা হামলা চালিয়ে আমাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে লুটপাট করেছে।আমি ন্যায় বিচার চাই।অপরদিকে অভিযোগের বিবাদী রুহুল আমীন ওরফে রাহাত বলেন, সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে কুপিয়ে আহত করা হয়নি।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জানান,প্রবাসীর স্ত্রীকে মারপিট ও লুটপাটের ঘঠনায় লিখিত অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
আরএস