স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ট্রাক প্রতীকে ভোট চাইলে, পিছমোড়া করে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেওয়ার ঘটনায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন নাটোর-৪ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কমিটির কাছে লিখিত জবাব দেন এই প্রার্থী।
এই আসনে মোট আট প্রার্থী মাঠে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে নৌকার সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন।
এর আগে রোববার রাতে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৎস্যজীবী পাড়ায় আয়োজিত নির্বাচনি সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকে ভোট না দেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় তিনি বলেন, কোনো নৌকার মেম্বর, চেয়ারম্যান এসে ট্রাক মার্কার ভোট চাইলে তাকে পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখার জন্য।
কারণ মেম্বর, চেয়ারম্যান নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তাদের নৌকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনি সভায় দেওয়া ওই বক্তব্য মূহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ২৬ ডিসেম্বর আমার সংবাদে খবরটি প্রকাশের পর বিষয়টি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির নজরে আসে। পরে ওই দিনই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। জবাব দিতে বুধবার ২৭ ডিসেম্বরে অনুসন্ধান কমিটির কাছে স্বশরীরে হাজির হন এ প্রার্থী।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সহকারি জজ আরিফুল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, কারণদর্শানোর লিখিত জবাব দিয়েছেন নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান। জবাবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থণা করেছেন।
সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে নাটোর-৪ আসনের (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) উপনির্বাচনে নৌকা নিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এবারও আওয়ামী লীগ তাকেই দলীয় প্রতীক নৌকা দিয়েছে।
নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী মোবাইল ফোন না ধরায় এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন মোবাইল ফোনে আমার সংবাদকে বলেন, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে তারা নিরলসভাবে গণসংযোগ করছেন। অথচ নৌকার প্রার্থী বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে চলেছেন। এতে জনমনে ভিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগেও সিদ্দিকুর রহমানের লোকজন তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এআরএস