দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (সদর) আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের এমপি প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলাম নিজেই জানেন না তার নির্বাচনী আসনের সীমানার পরিধি। আর এজন্য তাকে গুণতে হয়েছে ৩ হাজার টাকা জরিমানা।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী পৌর এলাকার আচরণবিধি সংক্রান্ত ফেনী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুদ্দোজ্জা এ ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং একইসঙ্গে এ সকল পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আসনটি ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। অথচ তিনি তার পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে ফেনী-২ সদর আসনের পরিবর্তে ফেনী সদর ও সোনাগাজীর আংশিক উল্লেখ করেছেন। সীমানা পরিধির এমন ভুল তথ্য দিয়ে প্রার্থী নিজের নির্বাচনী এলাকা ফেনী-২ আসনে পোস্টার সাঁটিয়েছেন ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন। ব্যানার ঝুলিয়েছেন। এতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সীমানা পরিধি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা মোছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ফেনী পৌর এলাকার আচরণবিধি সংক্রান্ত ফেনী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুদ্দোজ্জা পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ায় ফেনী-২ আসনের মোমবাতি প্রতীকের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং একইসঙ্গে এ সকল পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ফেনী-২ আসনের প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, ’আসন সম্পর্কে শুরুতে আমার ধারণা ছিল না। আমার দলের ফেনী জেলা সেক্রেটারি কাজি নুরুল আলম সাহেব আমাকে বলেছিলেন ফেনী সদর ও সোনাগাজীর একাংশ নিয়ে সীমানা পরিধি। আমি সে অনুযায়ী পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে সীমানা পরিধি উল্লেখ করেছি। তিনি আমাকে বলেছিলেন এভাবে না লিখলে সোনাগাজীর ভোটারেরা কষ্ট পাবে। পরে বুঝতে পেরেছি তথ্যটি ভুল।’
জরিমানার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ’আমি ম্যাজিস্ট্রেট স্যারকে বলে এসেছি পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে সোনাগাজীর একাংশ শব্দ দুটি কালি দিয়ে মুছে দেব। এছাড়াও এ প্রার্থী জানান, নির্বাচন উপলক্ষে তার মোমবাতি প্রতীকের এক হাজার পোস্টার, ৩০০ ফেস্টুন ও ১০টি ব্যানার ঝুলানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত,২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর, ধলিয়া, লেমুয়া, ছনুয়া ও ফাজিলপুর ইউনিয়ন বাদে ৮টি ইউনিয়ন ও দাগনভূঞা উপজেলা নিয়ে ফেনী-২ সংসদীয় আসন ছিল। ২০০১ সালের পরে এই বিন্যাসটির সীমানা পরিবর্তন করে পুরো ফেনী সদর উপজেলাকে নিয়ে ফেনী-২ আসন গঠন করা হয়। এ বিন্যাসেই ২০০৮ সাল থেকে ফেনী-২ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।এর মধ্যে বিগত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনের সঙ্গে সোনাগাজীর উপজেলার কখনও কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
এআরএস