কিশোরগঞ্জে পুলিশের বাজিতপুর সার্কেল অফিসের আওতাধীন পরিত্যক্ত জমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পুরো প্রাঙ্গণকে সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল সবজির বাগান। বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষের উদ্যোগ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই সবজির বাগান বাজিতপুর উপজেলার সকলের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
জানা যায়, সার্কেল অফিসের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি পরিত্যক্ত জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ। পুরো সবজি বাগানটি গড়ে তোলা হয়েছে সার্কেল অফিস, বাজিতপুর থানা, ভাগলপুর তদন্ত কেন্দ্র, পিরিজপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও বাজিতপুর শহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের পরিচর্চার দ্বারা।
সার্কেল অফিস সংলগ্ন এলাকাবাসী বলেন, ‘একসময় সার্কেল অফিসের পেছনের অংশটি ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হত। দুর্গন্ধে আমরা ছিলাম অতিষ্ঠ, সন্ধ্যার পর এখানে শেয়ালের বিচরণও ছিলো চোখে পড়ার মতো।’ বর্তমান সার্কেল সাহেব যোগদানের পর সার্কেল অফিসের পুরো চিত্র পাল্টে দিয়েছেন। সার্কেল অফিস প্রাঙ্গন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, অফিস ভবন সংস্কার, দেয়ালে রঙকরণসহ সার্কেল অফিসের বিভিন্ন কক্ষ সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হয়। ময়লার ভাগাড় অপসারণপূর্বক সবজি বাগান স্থাপিত হয়, যা ঘুরে দেখলে যে কারো নজর কাড়বে। সরকারি কোনো অফিস সংলগ্ন স্থানে এমন পরিবেশ সচরাচর চোখে পড়ে না।
বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন পরিত্যক্ত পড়ে না থাকে’ সেই মোতাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শেখ রাসেল পিপিএম (বার) এর উৎসাহে ও সার্বিক পরামর্শে সার্কেল অফিসের সংস্কার, অফিস কক্ষ, অফিস প্রাঙ্গণের সৌন্দর্যবর্ধন, ফুলের বাগান এবং সবজি বাগান গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমি এই সার্কেলে যোগদানের পরই পরিত্যক্ত স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে চারদিকে দুই স্তরের বেড়া দিয়ে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির বীজ বপন করে বাগান করার উদ্যোগ নেই। এরই ধারাবাহিকতায় সহকর্মীদের অফুরন্ত চেষ্টায় শীতকালীন বিভিন্ন সবজির চাষ শুরু করি। বর্তমানে বাগানে কয়েক জাতের শাক, কপি, বেগুন, ধনেপাতা, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির গাছ শোভা পাচ্ছে। এই বাগান থেকে আমরা সম্পূর্ণ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করার চেষ্টা করছি।
সার্কেল অফিস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নূরে আলম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনতোষ বিশ্বাসসহ উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সুধীজন পুরো সার্কেল অফিস ঘুরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ফুলের বাগান, শাকসবজির বাগান দেখে ব্যাপক প্রশংসা করেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ৩০ মে বাজিতপুর সার্কেলের যোগদান করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ। তিনি যোগদানের পর থেকে সার্কেল অফিসের সমস্ত নথিপত্র আপডেটসহ বাজিতপুর ও নিকলী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত ব্রিফিং দিয়ে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সার্কেল অফিস সংস্কারেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
এআরএস