বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বই বিতরণ করা হয়েছে।ঝকঝকে নতুন বইয়ের মাতোয়ারা কোমলমতি শিশু-কিশোররা। পাহাড়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল পরম আনন্দের।প্রাথমিক ও স্কুল,মাদ্রাসার ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই সব বই হাতে পেয়েছে।
সোমবার (১জানুয়ারী ২০২৪ইং)সকাল ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে বই বিতরন উৎসব অনুষ্টানে মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র ও মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি,র সভাপতি মো.শামছুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলেদেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী।
একই দিনে মাটিরাঙ্গা বনশ্রী বিদ্যানিকেত ও মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে নতুন বছরের নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলেদেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী।
মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শশাঙ্কর ত্রিপুরা লিটন এর সঞ্চালনায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আশরাফুল আলম সিরাজী, মাটিরাঙ্গা উপজেলা রিসোর্চ ইন্সট্রাক্টার মো.আজগর হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অনুপম শীল, মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অংহ্লাপ্রু মারমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো. শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো.সলিম উল্ল্যা, মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো.হাবিবুর রহমান খান,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আবুল হাশেম, মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল মালেক, বনশ্রী বিদ্যানিকেতন এর প্রধান শিক্ষক মো.আবু বক্কর ছিদ্দিক সহ অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা বিশেষ উপস্থিত ছিলেন
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আশরাফুল আলম সিরাজী বলেন, উপজেলার ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ও ২৪টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৮০হাজার ১১০ বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বই বিতরণ করা হয়েছে
প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী বলেন,পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি নতুন কারিকুলামের বিভিন্ন বই শিক্ষার্থীদের পড়ার আহবান জানিয়ে প্রধান অতিথি আরো বলেন বনশ্রী বিদ্যানিকেতন স্কুল ঘিরে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে।একটি উন্মুক্ত পাঠ কক্ষ করবো আমাদের ছেলেমেয়েরা যেভাবে চায় তাদের স্কুলে তারা যেন আরো বেশি পড়াশুনা করতে পারে যেন যে সময় টুকু স্কুলে কাটায় আনন্দমূখর করতে পারে। তারা যেভাবে চাইবে সেভাবে স্কুলকে সাজানো হবে। আমাদের একটি উদ্দেশ্য আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্টানে যতক্ষণ থাকবে সে সময়টা যেন আনন্দময় হয়।শিক্ষা যেন তাদের জন্য বোঝা না হয় । প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষকদের বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শ্রেনীকক্ষে সঠিক ভাবে পাঠদানের আহবান জানান তিনি।
আরএস