উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। পৌষের মাঝামাঝি এসে ঘনকুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। বিকাল থেকে শুরু হয় কনকনে ঠান্ডা আর রাতে থেকে সকাল সকাল ১১টা পর্যন্ত হিমেল ঠান্ডাসহ কুয়াশায় ঢাকা থাকে জনপদ। এরফলে দুর্ভোগ বাড়ে সাধারণ মানুষের। শীত নিবারণের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষ ছুটছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর আইনজীবি সমিতির সামনে খোলা মার্কেটে ও নছর উদ্দিন মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে দোকান দিয়ে বসেছে গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীরা। এই দোকানগুলোতে সোয়টার, জ্যাকেট, মাফলার ও ছোটদের গরম কাপড় অনেক কম দামে বিক্রয় হয়।অনেক বয়সের মহিলা ও পুরুষ গরম কাপড় ক্রয় করতে দেখা যায়।
গরম কাপড় কিনতে আসা সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মেহের জামাল (৫৫) জানান, আর কন না বাহে কয়দিন থাকি সকালে যে ঠান্ডা পড়ছে ঘর থাকি বেড় হওয়া যায় না। ছেলে-মেয়েগুলা ঠান্ডায় কাহেল হইছে। তাদের জন্য কমদামে কয়টা সোয়টার কিনছি। হামরাতো বড় দোকানে কিনবার পাবার নই। এই দোকান গুলাতে খুব কম দামে সোয়টার, জ্যাকেট পাওয়া যায়।
সদর হরিকেশ মুন্সি পাড়ার রাশিমা বেগম(৩৬) বলেন, মাঘ মাস পরার আগে যে ঠান্ডা দেখা যায়। মাঘ মাসে ঠান্ডা নামার আগে আমার ছেলের জন্য দুটি সোয়টার নিচ্ছি। অন্য মার্কেটের তুলনায় এখানে অনেক দাম কম। তাই এখানে আসা।
নছর উদ্দিন মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী রতন বলেন, শীতের বেচাকেনা এখনো জমে ওঠে নাই। গত এক সপ্তাহ ধরে একটু কুয়াশা ও শীত বাড়ায় গ্রাম-গঞ্জের মানুষ গরম কেনার জন্য আসছেন। তবে ১০-১২দিন পর মাঘ মাসে দোকানে প্রচুর বেচাকেনা হবে। এখানে শিশু, মহিলা ও বড়দের অনেক রকম গরম কাপড় পাওয়া যায়। এ মার্কেটে সবচেয়ে কাপড়ের দাম কম হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষসহ সব শ্রেণীর কাস্টোমার আসে।
আইনজীবি সমিতির সামনের কাপড় ব্যবসায়ী শামসুল আলম জানান, এবার সে রকম বিক্রি নাই। তবে আর কয়দিন পর প্রচুর গরম কাপড় বিক্রি হবে। আমার এখানে কোট, জ্যাকেটে, সোয়টার সহ সব ধরনের গরম কাপড় কম দামে পাওয়া যায়।
রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণাগার অফিস হতে জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
এআরএস