নাটোর-২ আসনে ভোটের লড়াইয়ে নৌকা-ট্রাকের উত্তাপ

মনজুর-ই-মওলা সাব্বির, নাটোর প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
নাটোর-২ আসনে ভোটের লড়াইয়ে নৌকা-ট্রাকের উত্তাপ
ছবি: আমার সংবাদ

নাটোরে শুরু হয়েছে শৈত্য প্রবাহ। তীব্র কুয়াশার সাথে কনকনে ঠান্ডাও অনুভূত হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই এই তীব্র কুয়াশাকে তোয়াক্কা না করেই নাটোর-২ আসনে চলছে ভোটের ক্যাম্পেইন। কুয়াশা ভেজা সকাল থেকেই প্রার্থীরা ছুটছেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পৌরসভার ওয়ার্ডের সাধারন মানুষের দ্বারে দ্বারে।

নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ভোট করছেন ৫ জন প্রার্থী। তার মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত পরপর দুই বারের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নৌকা প্রতীকের মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল। বিপরীতে ট্রাক প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বিজয়ী হয়ে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আহাদ আলী সরকার। মূলত নাটোর-২ আসনে এই দুই প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা, লিফলেট বিতরন, মাইকিং ও পথসভার মাধ্যমে উজ্জীবিত রেখেছে এই আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। নৌকা প্রতীকের শিমুলের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম আবস্থান নিলেও ট্রাক প্রতীকের পক্ষে দৃঢ় আবস্থান নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান।

ট্রাক প্রতীকের মো. আহাদ আলী সরকার বলেন, গত ১০ বছরে নাটোরে ক্ষমতার দাপটে চলেছে দুর্বৃত্তায়ন ও পারিবারিকীকরণ। এসবের বিরুদ্ধে জনগন একত্র হয়ে আমাকেই ভোট দিবে। আমি ভোটে জিতলে দ্বিধাবিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগকে আমি একত্র করবো ও নাটোরকে উন্নয়ন করবো।

নৌকা প্রতীকের মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে নাটোরে প্রধান সড়ক প্রশস্তককরণ, আধুনিক সদর হাসপাতাণকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, নার্সিং ইন্সটিটিউট স্থাপন সহ অনেক উন্নয়নের কাজ করেছি। করোনাকালীন সময়ে সবার ঘরে ঘরে খাদ্য পৌছিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। নেতাকর্মীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। সর্বোপরি নাটোরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য একনেকে পাশ করিয়েছে। এবার ভোটে জিতলে আমার দেয়া নির্বাচনি  ইশতেহার বাস্তবায়নের যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

তবে দুই প্রার্থীই আওয়ামী লীগের হওয়ায় ভোট দানে দোটানায় পড়েছে নাটোর-২ আসনের নেতাকর্মীরা। তাদের অনেকেই বলছেন দুই জন্যই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও এমপি ছিলেন। আমাদের জন্য একটা কঠিন পরীক্ষা। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে যেই আমাদের বিপদে এগিয়ে এসেছেন, খোঁজখবর নিয়েছেন, নাটোরকে উন্নয়ন করেছেন তিনিই ভোটে জিতবেন এমনটাই করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।

তবে ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল মার্কার ড. মো. নুরুন্নবী মৃধা মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করলেও মাঠে খুব একটা তৎপর নয় জাসদের মশাল মার্কার শফিকুল ইসলাম বাবু ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির  ডাব মার্কার বজলুর রশিদের।

এআরএস