পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত (৬০) এর মৃত্যু হয়েছে। ৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের নাগ্রাভাংগা গ্রামের তোতাম্বর পঞ্চায়েতের ছেলে।
পূর্ব বিরোধের জেরে জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে মঠবাড়িয়া থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল হালিম নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এও বলেন ঘটনাটিকে চলমান নির্বাচণী সংহিসতার দিকে ঠেলে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজ (কলার ছড়ি প্রতীক) এর নির্বাচণ পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এমাদুল হক খান দাবী করেন জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত তাদের সক্রিয় কর্মি ছিলেন। প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের সর্মকরা পরিকল্পিত ভাবে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ মো. রুস্তুম আলী ফরাজির (ঈগল প্রতীক) এর নির্বাচণ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর বলেন, ঘটনাটি একান্ত পারিবারিক জমি সংক্রান্ত। তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে হেরে যাবার ভয়ে এটাকে নির্বাচণী ইস্যু করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাদুরা গ্রামের মৃত করম আলী ফরাজীর ছেলে বশিরের সাথে একই এলকার জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতের দীর্ঘ দিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজ (কলার ছড়ি প্রতীক) এর সমর্থন করতেন জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত।
অপর দিকে বশির ফরাজি বর্তমান সাংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ মো. রুস্তুম আলী ফরাজির (ঈগল প্রতীক) এর সমর্থন করেন। বুধবার (৩ জানুয়ারী) সকালে বশির ফরাজি, তার ভাই ও তার ছেলেদের, জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত ও তার দলবল ধাওয়া করে। বিকেলে বশির ফরাজির বাড়ির সামনের রাস্তায় তার ছেলে সিরাজুলের সাথে সকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতের সাথে মারামারি হয়।
এসময় জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েতকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররণ করেন। ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে তিনি মারা যান।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে বলেন, এটা নির্বাচণী কোন ঘটনা নয়। ঘটনাটি একান্ত পারিবারিক জমি সংক্রান্ত। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বুলু বেগম বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় ৭ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এইচআর