ভোটের আর বাকী আছে মাত্র এক দিন। শুক্রবার সকালে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। তাই শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় প্রার্থীরা যে যার মতো করে ছুটছেন সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে। ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে,জনসংযোগ ও পথসভায় ভোট প্রার্থনা করেছেন।
পিছিয়ে নেই ঢেঁকি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ নিগার সাগরও। যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এবং প্রস্তাবিত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। তিনি প্রয়াত সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ভাগ্নি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আফরুজা বারীর মেয়ে। স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ৬ বছর আগে আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া আসনটি।
উপজেলার শহর, বন্দর ও গ্রামের ছোট ছোট টিস্টলগুলোতে চলছে ঢেঁকি, লাঙ্গল ও মশাল প্রতীকের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা। আর নির্বাচনে একেবারেই নতুন মুখ হিসেবে অংশ নিয়ে নির্বাচনী উত্তাপে ঘি ঢেলে দিয়েছেন নিগার। তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে।
উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মা আফরুজা বারী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ করছেন নিগার। আর এতে বেশ চাঙা হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন এমন ভোটাররা। বিভিন্ন পথসভায় ভোটারদের উপস্থিতি দেখে তেমনটাই মিলছে আভাস।
‘নৌকা প্রতীক না থাকলেও আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার যে ভোট ব্যাংক রয়েছে তাতেই নির্বাচনে উতরে যেতে পারেন নাহিদ নিগার’ এমনটাই আশা করছেন নিগারের কর্মী ও সমর্থকরা।
একান্ত সাক্ষাতকারে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিগার বলেন, শুরু থেকেই আমি মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। শেষ মূহুর্তে সেই সাড়াটা আরো বেশি পাচ্ছি। যেখানেই যাচ্ছি নারীরা আমাকে জড়িয়ে ধরছেন, মাথা এবং গায়ে হাত বুলিয়ে দোয়া করছেন।
তবে শেষ হাসি কে হাসবেন? ঢেঁকি, লাঙ্গল না কি মশালের প্রার্থী তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৭ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত, এ আসনটির ১১৪টি কেন্দ্রের ৮৪৬টি ভোট কক্ষে (স্থায়ী ও অস্থায়ী) ভোট দিবেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪ জন ভোটার। এরমধ্যে ১ জন তৃতীয় লিঙ্গেরসহ ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯২ জন নারী এবং ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫১ জন পুরুষ ভোটার।
এআরএস