বরগুনার আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব (আইন) মো. আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মামলার নির্দেশ দেয়া হয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই আল হাদি মেয়র মতিয়ারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের মামলার নির্দেশ দেয়ার চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে মেয়র মতিয়ারের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধির ৬ (খ) ও (গ) এবং ১১ বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বলা হয়, ১০৯, বরগুনা-১ নির্বাচনি এলাকার আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান গত ২০ ডিসেম্বর তাঁর (মেয়র মতিয়ার রহমানের) বাসার সামনে যুবলীগের বর্ধিত সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (কেচি) গোলাম সারোয়ার ফোরকানকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক বক্তব্য এবং সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখান। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের কাছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ (২খ) ও ৭৭(১) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(খ), (গ) ও ১১ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে বরগুনা-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ওই প্রতিবেদনের আলোকে মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ (২খ) ও ৭৭(১) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(খ), (গ) ও ১১ এর বিধান লঙ্ঘনের দায়ে আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনায় আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনতিবিলম্বে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেলিম রেজা মুঠোফোনে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চিঠি পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে এ বিষয়ে কথা বলবো।’
এআরএস