ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মী বরুন ঘোষ হত্যার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাতে শহরের হামদহ, ব্যাপারীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী বরুন ঘোষ হত্যা মামলার এজাহার ও সন্ধিগ্ধ আসামীরা শহরের হামদহ ও ব্যাপারীপাড়ায় অবস্থান করছে এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাদের গেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঝিনাইদহ শহরের হামদহ ঘোষপাড়া এলাকার কার্তিক ঘোষ ও তার ছেলে কল্লোল ঘোষ, কামারকুণ্ডু এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন, হামদহ এলাকার তফসের হোসেনের ছেলে আইয়ুব আলী, ইসলামপাড়ার ডাবলু মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া, ব্যাপারীপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে মুন্না ও রমজান আলীর ছেলে হাতকাটা তরুণ। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দীন জানান গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে নিহত বরুন ঘোষের স্ত্রী বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৯/১০ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের হামদহ এলাকার নিজ বাড়ী থেকে বরুন ঘোষ চা পানের উদ্দেশ্যে মাঝিপাড়ায় যায়। এসময় মহাসড়কে পৌঁছালে একদল দুবৃর্ত্ত তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বরুন ঘোষ আওয়ামী লীগের কর্মী এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ ২ আসনের পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি’র সমর্থক ছিলেন। তবে আসামীরা কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের প্রত্যক্ষ কর্মী বা সমর্থক ছিলেন না বলে দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিনিধির।
স্থানীয়রা জানান এই হত্যাকান্ড পারিবারিক জমি জায়গা নিয়ে সংঘটিত হয়েছে এর সাথে কোন রাজনৈতিক বা ভোটের যোগসূত্রতা নেই।
আরএস