নাটোর পৌরসভায় ডাস্টবিনের প্রবল সংকটে বিপাকে পড়েছে পৌরবাসি। এ কারণে পৌর এলাকার যত্রতত্র মংলা আবর্জনা পড়ে থেকে একদিকে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
অপরদিকে মশা-মাছি জন্ম নিয়ে রোগও ছড়াচ্ছে দেদারছে। পৌরসভায় বারবার অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এত করে নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ। নির্দিষ্ট জায়গায় ডাস্টবিন না থাকার কারণে পৌর এলাকার বিভিন্ন বাড়ির ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা হয়।
খাবারের আশায় কুকুর, বিড়াল সেই আবর্জনা টেনে হেঁচড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। নির্দিষ্ট জায়গায় ডাস্টবিন না থাকার কারণে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা আবর্জনা তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিও অনাগ্রহ দেখায়। ফলে দিনের পর দিন পড়ে থাকা আবর্জনার দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে বাতাস। রোগ জীবানু ছড়িয়ে পড়ে অসুস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
পৌরএলাকাবাসিরা জানায়, নাটোরের প্রধান রাস্তা প্রশস্ত করন অথবা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের সময় পূর্বের ডাস্টবিনগুলো ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের পর পৌরসভা তা আর করে দেয়নি। ফলে ডাস্টবিন সংকটে নষ্ট হচ্ছে পৌরএলাকার পরিবেশ।
পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মো. হেলাল উদ্দিন জানান, এই এলাকার গাড়িখানা জামে মসজিদের গেটের কাছে অনেক আগে থেকেই ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। পৌরসভাকে বার বার অনুরোধ করলেও তারা এখানে একটা ডাস্টবিন করে দেয়নি। ডাস্টবিন না থাকার কারনে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও এখানকার আবর্জনা তুলে নিয়ে যায় না।
পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কালুদা জানায় প্রধান রাস্তা প্রশস্ত করার আগে নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটে একটা ডাস্টবিন ছিল। কিন্তু রাস্তা করার সময় তা ভেঙে ফেলে। নতুন করে আর ডাস্টবিন করে দেয়নি পৌরসভা। ফলে অনিমা চৌধুরী অডিটরিয়ামে কোন অনুষ্ঠান হলে এবং আশেপাশের অন্যান্য বাড়ির সব আবর্জনা রাস্তার উপর ফেলে। পৌরসভার গাড়িও তা সহজে তুলে নিয়ে যায় না। যার কারনে হাঁটা চলার অসুবিধার পাশাপাশি দুর্গন্ধও ছড়ায়।
নাটোর পৌরসভার ১ নং প্যানেল মেয়র মো. আরিফুর রহমান মাসুম জানান কোন নির্দিষ্ট জায়গায় ডাস্টবিন করার ক্ষেত্রে আপত্তি থাকলে সেখানে আর করা হয় না। তবে স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের বললে পৌরসভা ডাস্টবিন করে দেওয়ার উদ্যোগ নিবে।
এআরএস