নীলফামারীর জলঢাকায় মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অপরাধে বাদী মোছাঃ মোর্শেদা বেগম নিজেই ফেসে গিয়ে জেল হাজতে । মোর্শেদা বেগম নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার কিসমত বটতলার সৈয়দ আলীর স্ত্রী। যাহার পিটিশন মামলা নং-০১/২০১৪ জলঢাকা, জিআর-২২/১৪।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে বাদী মোছাঃ মোর্শেদা বেগমকে সিআর ১৬৮/২১ মামলায় সাজা পরোয়ানা মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন নীলফামারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ বিচারক মোঃ আশিকুর রহমান।
জানা যায়, মোছাঃ মোর্শেদা বেগম আদালতে অভিযোগ করেন প্রতিবেশীর সাথে জমি নিয়ে কলহ বিবাদ ও মামলা ছিল । সেই শত্রুতার জের হিসাবে মোখলেছুর , কাইয়ুম , রুবেল , রহিমা খাতুন, এহিয়া, আতিয়ার রহমান, রবিউল, মকছুদ আলী, রঞ্জনা বেগম, মমিনুর রহমান, শরিফা বেগমসহ এই কজন ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার সময় মোর্শেদা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে স্বামীর সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু করে । মোর্শেদা ও তার স্বামী চিৎকার করলে তারা মোর্শেদা ও তার স্বামীকে মারধর করতে থাকে । ঐ অবস্থায় মোখলেছুর তার হাতে থাকা পেট্রোলের বোতলের মুখ খুলে শোবার ঘরের চাটির মধ্যে পেট্রোল ছিটিয়ে দিয়ে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে ঘর পুড়িয়ে দেয় মর্মে মামলা করেন। প্রথমে জলঢাকা থানা পুলিশ পরে ডিবি পুলিশ এবং সর্বশেষ সিআইডি তদন্ত করে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণ পাওয়ায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন।
ওই ফাইনাল রিপোর্ট আদালত গ্রহণ করেন এবং আসামীদের মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জি আর ২২/১৪ জলঢাকা মামলার এজহার কারী মোর্শেদা তার স্বামীসহ অন্যান্য দের সহযোগিতায় সি আর ১৬৮/২১ মামলার এজাহারকারী মোখলেসুর রহমানকে মারধর করে। মারধোরের এক পর্যায়ে মোখলেছুর রহমান জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে মোর্শেদা বেগম তার স্বামীসহ অন্যান্য দের পরমর্শে এ বিপদ থেকে বাচতে নিজেই নিজের ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এবং মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা আনয়ন করেন।
পরবর্তীতে মোখলেছুর রহমান এ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বাদী হয়ে সি আর ১৬৮/২১ জলঢাকা মামলা করেন। উক্ত মামলায় এজাহারকারী তার দাবী সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে সমর্থ হওয়ায় নীলফামারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪, আসামী মোছাঃ মোর্শেদা বেগম কে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন এবং সাজা পরোয়ানামূলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আরএস