‘খুব ঠান্ডা বাহে এবারকেনা সরকার কম্বলও দেয় না’

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
‘খুব ঠান্ডা বাহে এবারকেনা সরকার কম্বলও দেয় না’

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলাসহ সারাদেশে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। কোথাও শীতের তীব্রতা এত বে‌শি ছিন্নমূল নিম্ন আয়ের মানুষগুলো জীবিকার তাগিদে বের হতে পাচ্ছেনা ঘর থেকে। কোথাও কোথাও ১৪ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রায় নাকাল গ্রামবাসীর জীবনযাত্রা। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর জীবন বিপর্যস্ত অবস্থায়। ব্রহ্মপুত্র -যমুনা নদীর তীরবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এই অঞ্চলের শীত অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে একটু বেশি।

উদাখালি ইউনিয়নের বুড়াইল গ্রামের বিধবা মমজান বেগম (৭৫) গত দুই বছরে কোন শীতের কম্বল পান নেই এবারও পাবার আশা নাই তার তিনি জানান, ম‌্যালা ( অনেক) কষ্ট করি আত(রাত ) পার করবা নাকছোম ( পার করতেছি) দিনেতেও এত ( দিনের বেলাও ) ঠান্ডা হবে মুই মোর জীবনেও দেখোম নাই।

উত্তর উড়িয়া গ্রামের সাদা মিয়া (৭০) শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে সংসার চালায়। তিনি বলেন, ‘কয়দিন ধরে সকালে উঠতে পারেনা। অতিরিক্ত ঠান্ডায় হাত-পা কাঁপুনি ধরেছে। গোসল করতে পারছে না। অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঘর থেকে না বের হতে পারায় সময়ের খাবার সময় মত জোগাড় করতে পারছেন না।’

‘খুব ঠান্ডা বাহে এবারকেনা সরকার কম্বলও দেয় না’ এমনটাই বলেন, উড়িয়া ইউনিয়নের গুনভরি গ্রামের শীতের তীব্রতার কারণে ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে বসে বয়োবৃদ্ধ লালচান(৭০)। তিনি বলেন, ‘এবারের মত ঠান্ডা কখনোই তিনি সহ্য করেন নাই। এত ঠান্ডা এই শীতে তার বেঁচে থাকা সম্ভাবনাই হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। পাশাপাশি এই শীতের তার শ্বাসকষ্ট তীব্রতা এতই বেড়ে গেছে কথা বলতে হাপি‌য়ে উঠছেন বারবার।’

ফুলছড়ি উপজেলা পিআইও অফিসে সংরক্ষণ করা আছে ৩৫০০ কম্বল। আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার উপজেলা পিআইও কর্মকর্তা শাহিদুজ্জামান জানান, নির্বাচন পূর্ববর্তী তফসিলের পরে ৩৫০০ কম্বল আসে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে। নির্বাচনী জটিলতায় দেড় মাস পূর্বে আসা এসব কম্বলগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয় নাই। তবে খুব শীঘ্রই বিতরণ করবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এআরএস