নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় ইয়াবা ও নেশার ট্যাবলেটসহ (টাপেন্টাডল) উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. শরীফ মাহমুদ সুমনকে (৪৭) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের মনতলা গ্রাম থেকে ৩৫টি ইয়াবা ও ৪৮টি নেশার ট্যাবলেটসহ তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৪ হাজার ১৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সুমন একজন পেশাদার মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মাদকের মামলা রয়েছে। শরীফ মাহমুদ সুমন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুমন তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করে আসছেন। গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে সুমনকে পেয়ে দেহ তল্লাশি করে ৩৫টি ইয়াবা ও ৪৮টি টাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়ার পর তাকে আটক করা হয়। বাড়ি তল্লাশি করতে রওনা হলে পুলিশ আসছে বলে চিৎকার করে সুমন তাঁর স্ত্রীকে সতর্ক করে দেয়। চিৎকার শুনেই ডুপ্লেক্স বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন সুমনের স্ত্রী। আধা ঘণ্টার বেশি সময় দরজা বন্ধ রেখে ভেতরে থাকা মাদক লুকিয়ে ফেলেন বলে পুলিশের ধারণা। পরে দরজা খুলে দিলেও আর মাদক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা যুলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, ‘শরীফ মাহমুদ সুমন উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হলেও তিনি দলীয় কাজে সক্রিয় নন। আমরা সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে। মাদকমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়তে সব সময় কাজ করি। মাদকের এ ঘটনায় সুমনের বিরুদ্ধে দলীয় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনায় রাতেই সুমনের নামে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এইচআর