নেত্রকোণার কলমাকান্দায় মাদরাসা ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি দেলোয়ার এবং দৌলতকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১৪, ময়মনসিংহ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ’র উপ-পরিচালক অপারেশনস্ অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের কাছে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ভিকটিম মহিলা মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। মাদরাসায় যাওয়া-আসার পথে আসামিরা প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতো এবং অশালীন কথাবার্তা বলত। বিষয়টি মহিলা ইউপি সদস্যের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানালে মনির মিয়া‘সহ তার পরিবারের লোকজন ইউপি সদস্যসহ ভিকটিমের মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত হন । গত বছরের ১১ নভেম্বর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে, আসামি মনির মিয়া‘সহ তার পরিবারের লোকজন ভিকটিমের মা এবং ইউপি সদস্যকে মারপিঠ করে আহত করেন। খবর পেয়ে ভিকটিমসহ তার প্রতিবেশিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমের মা এবং মহিলা ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে পাশের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময়, ভিকটিম তার মায়ের কাপড়-চোপড় নেওয়ার জন্য বাড়িতে গেলে আসামিরা সুযোগ বুঝে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরবর্তীতে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই বাদি হয়ে তিনজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনকে আসামি করে আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে গত ৯ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কলমাকান্দা থানা পুলিশকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামীগণ গা ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পলাতক ছিল।
এরই প্রেক্ষিতে, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব-১৪, সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার লতিফপুর এলাকা থেকে দেলোয়ার হোসেন (২২), দৌলত মিয়া (২৩), কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে আজ শনিবার নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এআরএস