রঙ্গিন ফুলকপি চাষে সাফল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ১০:১১ এএম
রঙ্গিন ফুলকপি চাষে সাফল্য
ছবি: আমার সংবাদ

রঙ্গিন ফুলকপি ও বাধাকপি উচ্চফলনশীল সবজি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় চাষাবাদ হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের বাদমৌকা গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম পলিন তার ২০ শতক জমিতে এবার পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি (ক্যারোটিনা জাতের) চাষ করে সফলতা পেয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভালো ফলনের পাশাপাশি ফুলকপির ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে।

ফলে রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় সবজি চাষিরা। রঙিন ফুলকপির সাফল্যে খুশি স্থানীয় কৃষি বিভাগও।

দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প হতে, ফুলকপির বীজ, রাসয়নিক সার, জৈব সার, জৈব বালাইনাশক, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।‍‍` এই প্রকল্পের অর্থায়নে দিনাজপুর জেলার ২৩টি উপজেলায় ৭৭টি রঙ্গিন ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জনাব মশিউর রহমান বলেন ‘এটি স্থানীয় মাটি ও আবহাওয়ায় চাষে কতটা উপযোগী বা কেমন ফলন হয় আমরা দেখতে চেয়েছি। আমরা সফল হয়েছি,’ বলেন তিনি।

প্রকল্প পরিচালক আবুরেজা আসাদুজ্জামান জানান, বিশ্বের  অন্যান্য দেশে এ জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি সবজির পাশাপাশি সালাদ হিসেবেও খাওয়া হয়। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর।

আর আমাদের স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি আশেপাশের অন্যান্য কৃষক এই রঙ্গিন ফুলকপি চাষে ব্যপক আগ্রহ প্রকাশ করছে।

তিনি আরো বলেন, সাধারণ ফুলকপি চাষের যে পদ্ধতি ওই একই পদ্ধতিতে রঙিন ফুলকপি চাষ হয়। খরচ ও পরিশ্রম একই। শুধু জৈব সার ব্যবহার করেই এই ফুলকপি চাষ করা যায়।

এইদিকে কৃষক তাজুল ইসলাম পলিন দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, বাজারে সাদা ফুলকপি যেখানে ১০ থেকে ১৫টাকা। সেখানে এ রঙ্গিন ফুলকপি ৭০-৮০টাকায় বিক্রি করতে পারছি। এতে আমি ব্যাপক খুশি এবং আগামী মৌসুম থেকে আমি এই রঙ্গিন ফুলকপি আবাদ করবো।

এআরএস