উপজেলার হাট-বাজারে শীতকালীন তাজা সবজিতে ভরপুর হলেও দাম অনেক বেশি। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছর শীতের এই সময়ে সবজি হাতের নাগালে থাকলে এবার শীতের কাঁচাবাজারে ছড়িয়েছে উত্তাপ।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে লোহাগড়া উপজেলার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শসা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আলু লাল ৪০ থেকে ৫০,আলু সাদা ৩৫ থেকে ৪৫,টমেটো ৪০ থেকে ৬০, গাজর ৩০, বেগুন ৭০ থেকে ৮০, মুলা ২০ থেকে ৩০, মরিচ ৮০ থেকে ১০০, পেঁয়াজ দেশী নতুন ৯০ থেকে ১০০, পেঁয়াজ কালি ৪০টাকা,ওল ৪০ থেকে ৫০,আদা ২০০ থেকে ২৪০, রসুন ২২০ থেকে ২৫০, পুঁইশাক ৬০ থেকে ৭০, শিম ৬০, বরবটি ৮০ থেকে ১০০, মটরশুঁটি ১০০ থেকে ১২০, সাদা বেগুন ৬৫ থেকে ৭০, করলা ১০০, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ কাচঁকলা প্রতি হালি ২৫ থেকে ৩০টাকা ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
সাধন কুমার দাস নামের এক ক্রেতা বলেন, শীতের সময় সবজির দাম কম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও সবজি চড়া দাম কেন? এত টাকা দিয়ে সবজি কিনে পরিবার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।
সবজি ক্রেতা রইচ উদ্দীন টিপু বলেন, বাজারে সব কিছু থাকা স্বর্তে ও দাম বেশি। আমদানি আছে কি কারণে জিনিসপত্রের দাম বেশি বুঝতে পারছিনা। তাছাড়া বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকার কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। সব ধরনের সবজির দাম তুলনামূলক বেড়েছে। সাধারণ মানুষের চড়া মুল্যে সবজি কিনতে হিমসিম খাচ্ছে। কৃষক সবজি উৎপাদন করে তারা দাম বেশী পায়না কিন্ত খুচরা বাজারে শাক-সবজির দাম চড়া।
লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ইবাদত শিকদার বলেন, সবজির দাম অন্যবারের তুলনায় বেশি। তবে সরবরাহের বড় কোনো ঘাটতি নেই। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ার কারণে শীতের সবজিতে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এজন্য আগের তুলনায় সবজির দাম একটু বেড়েছে। তবে আশা করছি ৭-৮ দিনের মধ্যে সবজির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।
এইচআর