ইংরেজ শোষণ আর নির্যাতনের নিরব স্বাক্ষী কটিয়াদীর নীলকুঠি

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
ইংরেজ শোষণ আর নির্যাতনের নিরব স্বাক্ষী কটিয়াদীর নীলকুঠি
ছবি: সংগৃহিত

ইংরেজ শাসনের অন্তহীন নন্দিত ঐতিহ্যের পাশাপাশি রেখে যাওয়া শোষণ আর নিপীড়নের চিহ্নমাত্র আজও বাংলার বিভিন্ন জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যেখানে রয়েছে ইংরেজদের তৎকালীন শাসনব্যাবস্থার ছাপ। বাংলার মানুষের প্রতি ইংরেজ শাসকগোষ্ঠীর বর্বর অত্যাচার আর নিপীড়নের মাত্রা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার  অন্যতম বাস্তব চিত্র তাদের স্থাপনা।

ইংরেজ ইতিহাসের এমনি এক স্বাক্ষী কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ‘জালালপুর নীলকুঠি’। উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে কালের স্বাক্ষী ঐতিহাসিক নীলকুঠি।

নীলচাষ শব্দের সাথে মিশে আছে তৎকালীন ইংরেজ শাসকদের বর্বর অত্যাচার আর নিপীড়নের বাস্তবচিত্র। ইংরেজ সাহেবদের চাবুকের মুখে পড়ে ক্ষুধার্ত চাষীদের আহাজারি, বেগারি মূল্যে ইংরেজ শাসকদের আনুগত্য, নামমাত্র মূল্যে চাষীদের দিয়ে নীল ফলিয়ে তাদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিতসহ একাধিক ঘটনার নীরব স্বাক্ষী এই নীলকুঠি।

তবে কালেভদ্রে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ধ্বংসের মুখে। গুপ্তধনের আশায় রাতারাতি এটি ভেঙে ফেলা হয়েছে অনেক আগেই। মূল ভবনটির চিহ্নমাত্র নেই। ফলে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি।

কটিয়াদী উপজেলা প্রশাসন জানান, ইতোমধ্যেই নীলকুঠিটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মরা ইংরেজ শাসনামলের বিষয়ে জানতে পারে ও নীলকরদের অত্যাচার সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।

এআরএস