আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে খালের চর দখলের অভিযোগ ওঠেছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা মহিলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ছেনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে। তিনি গত এক মাস আগে আরবশাহ বাজার খালের প্রায় চার শতক চরের জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছে একটি স্থাপনা। গত কয়েকদিন ধরে ওই স্থাপনের পাশে আরো প্রায় পাঁচ শতক খালের চর দখল করে মাটি ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখে। আর সেখানে মাটি ভরাটের কাজে শ্রমিক নিযুক্ত করেছেন কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিকদের।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ছেনুয়ারা বেগম রাজাখালী ইউপির ১,২ ও ৩নং সংরক্ষিত ওর্য়াডের মহিলা মেম্বার। অপরদিকে মহিলা আ. লীগের নেত্রী। ক্ষমতার অপব্যবহার করে আ. লীগের কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে সরকারি চরের জায়গা জবর দখল করেছে। কর্মসৃজন প্রকল্পের পিসি ছেনুয়ারা মেম্বার। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কয়েকদিন ধরে কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজে তাদের ব্যবহার করছেন। এখানে আ.লীগের কোন কার্যালয় নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, রাজাখালী ইউপির মিয়াপাড়া এলাকায় আরবশাহ বাজার খালে জেগে ওঠা চরে ৬জন শ্রমিক মাটি ভরাটের কাজ করছে। তারা বলেন, আমরা কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিক। ছেনুয়ারা মেম্বার আমাদের এখানে কাজ করতে পাঠিয়েছে।
দেখা যায়, মিয়াপাড়া আর রাজাখালী খালের মাঝখানে আরবশাহ বাজার টু লালজান পাড়া সড়ক। সড়কের পশ্চিম পাশে লাগোয়া ছেনুয়ারা মেম্বারের বাড়ি। পূর্বপাশে লাগোয়া চরের জায়গা। প্রায় ৯ শতক জায়গায় ৭ ফুট উচ্চতায় মাটি ভরাট করা হয়েছে। একপাশে টিনের বেড়া ও ছাউনি দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করেছে। যেটি আ. লীগের দলীয় কার্যালয় বলে দাবি করেন ছেনুয়ারা মেম্বার।
রাজাখালী ইউপির সদস্য ছেনুয়ারা বেগম বলেন, দু`একজন শ্রমিক কাজ করলে এমন কি সমস্যা। অন্য মেম্বাররা বাড়িতে, লবণমাঠে কাজ করে এগুলো সাংবাদিকেরা দেখেনা। ভাই উপজেলার প্রত্যেক মেম্বারের সাথে দপ্তরের কর্মকর্তাদের আলাদা সম্পর্ক আছে। এছাড়া এটা আমার নিজের জায়গা। সমিতির জায়গা।
পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, যেসব শ্রমিক সেখানে কাজ করছে তালিকা থেকে তাদের হাজিরা বাদ দেওয়া হবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী জানান, কর্মসৃজন শ্রমিক যেন কোন ব্যক্তি কাজে ব্যবহার না হয় সে ব্যাপারে মেম্বারদের তাগিদ দেওয়া আছে। বিষয়টি আমি দেখছি।
এআরএস