নোয়াখালীর কবিরহাটের জগদানন্দ গ্রামে বিজয় মেলার নামে অশ্লীল নৃত্যের যাত্রা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন কোম্পানী ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুনাফের বিরুদ্ধে।
মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে বেসামাল এ অশ্লীল নৃত্য চলছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
অভিযোগ রয়েছে, গত বছর এ মেলায় রমরমা দেহ ব্যবসা চালানো হয়। পরে সরকারের একাধিক সংস্থা মেলা পরিদর্শন করে বেশ কিছু আপত্তিকর উপকরণ উদ্ধার করে মেলা বন্ধ করে দেন।
একাধিক সূত্র জানায়, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন কোম্পানি ওই মেলার উদ্বোধন করেন। ক্ষমতাদরদের সাথে ঘনিষ্ঠততার প্রভাব খাটিয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করেই চলছে কামাল উদ্দিনের।
বুধবার দিবাগত রাতে সরেজমিনে মুকবুল চৌধুরী হাট বিজয় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় রয়েছে ১৫-২০টি দোকান। মেলার মূল আর্কষণ হল নগ্ন নৃত্যের যাত্রা। রাত ১১টা থেকে উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আর যুবকদের নগ্ন নৃত্যের আসরে উপছে পড়া ভিড় দেখা যায়। তবে নগ্ন নৃত্য মঞ্চে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। মেলায় অশ্লীল নৃত্য করেন একাধিক কিশোরী, তরুণী ও যুবতী। তাদের শরীরে হরদম টাকা ছিটাচ্ছেন এক টাক মাথার লন্ডন প্রবাসী।
ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল কোম্পানী বলেন, মেলা এবং যাত্রা দুটোরই অনুমোদন রয়েছে। যাত্রায় নগ্ন-অশ্লীল নৃত্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ঠিক নগ্ন নৃত্য নয়, মেলায় একটু বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকলে মানুষ আসে না। এতে মেলাও জমবে না।
কবিরহাট থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান। মেলার যাত্রায় অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও রয়েছে বললে ওসি বলেন, এ মেলার আয়োজক কমিটি জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছে।
কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। মেলায় সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। ওই ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বিজয় মেলার অনুমোদন দেওয়া হলে তো যাত্রার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এই ধরনের কোন যাত্রা বা অশ্লীল নৃত্য পরিচালিত হলে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআরএস