ট্রাকচালক হাফিজুল ইসলাম (৩০)। গত শনিবার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর শহরের ইসলামপুর এলাকা থেকে ব্যবসায়ী মোশারফ শেখের ১৫২ মণ শুকনা সরিষা গাড়িতে বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলায়। একদিন পর গত রবিবার বেলা সাড়ে ১০টায় সরিষার মালিক মোশারফ ট্রাকচালক হাফিজুলকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পান।
এদিকে চারদিন অতিবাহিত হলেও চালক হাফিজুলের ফোন বন্ধ থাকায় এবং সরিষা গন্তব্যে না পৌঁছায় বৃহস্পতিবার ঘোড়াঘাট থানায় অভিযোগ করেন সরিষার মালিক ব্যবসায়ী মোশারফ শেখ।
অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে মাঠে নামে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল। ঘটনার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় পুলিশ জানতে পারে ট্রাকচালক হাফিজুল ইসলাম গাজীপুরে অবস্থান করছে।
পরে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই থানা এলাকার তালতলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে চালক হাফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকা থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের সরিষা এবং ট্রাকটি জব্দ করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ট্রাকচালক হাফিজুল ইসলাম (৩০) নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত নিজাম আলী মণ্ডলের ছেলে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গ্রেপ্তার ট্রাকচালক হাফিজুলের নেতৃত্ব একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার মালামাল কৌশলে আত্মসাৎ করে আসছে। ঘোড়াঘাট থেকে সরিষা লোড করার সময় তার গাড়ির যে নাম্বার ছিল, ট্রাকটি উদ্ধার করার সময় গাড়ির নাম্বার অন্যটি পাওয়া গিয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, থানায় এজাহার দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা গাজীপুর জেলা থেকে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের সরিষা উদ্ধার করেছি এবং ট্রাকসহ চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে দিনাজপুর জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ইএইচ