নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কৃষি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক লেগেছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। অপরদিকে প্রভাবশালী মহল আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে এ মাটির ব্যবসা।
ক্ষেত্রে বিশেষ জমির মালিকরা মাটি বিক্রিতে অস্বীকার করলে তাদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না।
এতে যেমন ফসল ফলানোর জায়গা কমে যাচ্ছে, তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে পার্শ্ববর্তী সব ফসলি জমি। ফসলি জমিতে এক্সকেভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। এসব মাটি ডাম্প ট্রাক দিয়ে ক্রেতার কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমির পাশাপাশি গ্রামীণ এবং পাকা রাস্তা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাড়ি-ভিটে, পুকুর ভরাটের কাজে। নির্বিচারে চলছে মাটিকাটা। এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্প ট্রাক চলার কারণে ধুলো বালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, উদয়দী গ্রামের মানিকের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক প্রভাব দেখিয়ে রাইনাদী কলাগাছিয়া এলাকার জমিগুলো থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন লোকের ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মানিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কৃষকদের জমির মাটি কিনে বিভিন্ন স্কুল মাদরাসাসহ বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রি করি।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহাম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ইএইচ