ফেনীতে ৯০ হেক্টর জমিতে কুল আবাদ

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম
ফেনীতে ৯০ হেক্টর জমিতে কুল আবাদ
ছবি: আমার সংবাদ

ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে ৯০ হেক্টর জমিতে পুষ্টিকর ফল কুলের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৮০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য অর্ধকোটি টাকার বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ মৌসুমে জেলায় ৮৬ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছিল। তখন ফলন পাওয়া গেছে ৯৩৮ মেট্রিক টন।  

চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৯০ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৮০ মেট্রিক টন। বাজারে প্রতিকেজি কুল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকায়। লক্ষ্যমাত্রার আলোকে উৎপাদন হলে এর মূল্য দাঁড়াবে প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি।  

এর মধ্যে জেলার শহরতলীর আমিন বাজার এলাকায় তোফায়েল, জাহিদ ও রনি নামে স্থানীয় তিন যুবক মিলে জান্নাত অ্যাগ্রো নামে একটি কৃষি প্রকল্পে সাথি ফসল হিসেবে ছয় একর জমিতে সাত শতাধিক গাছের কুলের বাগান করেছেন। গত বছর এ বাগান থেকে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার কুল বিক্রি হয়েছিল।

চলতি মৌসুমে গাছ আরও পরিপক্ব হওয়ায় ফলন বেড়েছে। প্রতিগাছে ফলন হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ কেজি। এ মৌসুমে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১২ লক্ষাধিক টাকা।

এ তিন উদ্যোক্তা জানান, কুলের আবাদ সহজ এবং খরচও কম, যার ফলে সহজেই লাভের মুখ দেখেছেন তারা।  

তারা জানান, কুল আবাদে খরচ তেমন বেশি নেই, একটু যত্নশীল হলে অনায়াসে কুল চাষাবাদ করে লাভবান হওয়া যায়। সাথি ফল হিসেবেও কুল ভালো।  

শুধু এ বাগানটি নয়, জেলার সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের কালিদাস পাহালিয়া নদী তীরের কে পাহালিয়া অ্যাগ্রোতেও ১০ একর জমিতে এক হাজারের বেশি গাছের বাগান করেছেন স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোক্তা। বিগত বছর তারা ১০ লক্ষাধিক টাকার কুল বিক্রি করলেও এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

বাগানটির উদ্যোক্তারা জানান, নদী পাড়ের খালি জমিকে কাজে লাগিয়ে তারা বাগানটি করেছেন এবং ফলনও মিলছে ভালো। এ বাগানটির উদ্যোক্তারা জানান, দুই বছর মিলিয়ে ২৫ লক্ষাধিক টাকার ফলনের আশা করছেন তারা।  

জেলার আমিন বাজার ও কালিদহের বড় দুটি বাগান ছাড়াও ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর, সদর উপজেলার কাজীরবাগ এবং সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায়ও ছোট-বড় আরও বেশ কয়েকটি বাগান রয়েছে। অনেকে বাড়ির আঙিনায়ও লাগিয়েছে উন্নত জাতের এসব কুলের গাছ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. জগলুল হায়দার বলেন, ফেনীর মাটি ও সামগ্রিক পরিবেশ কুলের আবাদের জন্য ইতিবাচক। এ জেলায় কুলের আবাদ আরও বেশি হতে পারে। এটি এ জনপদের জন্য আশার আলো।

ইএইচ