ডাক্তার লুৎফর রহমানের নামে হাসপাতালের নামকরণের দাবি

মাগুরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
ডাক্তার লুৎফর রহমানের নামে হাসপাতালের নামকরণের দাবি

মাগুরার ২৫ শয্যা বিশিষ্ট ডায়াবেটিক হাসপাতালটিকে ডাক্তার লুৎফর রহমানের নামে নামকরণের দাবি জানিয়েছেন এটির জমিদাতা পক্ষ।

মাগুরা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, মাগুরা ‘ডায়াবেটিক হাসপাতাল শীর্ষক প্রকল্পের’ আওতায় ৬০ শতক জমির ওপর ১৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তিনতলা ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে।

এ প্রসঙ্গে ডাক্তার লুৎফর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইদ রেজা বলেন, সর্বমোট এক একর জমি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য দিয়েছি। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪ কোটি টাকা। উদ্দেশ্য একটাই ডাক্তার লুৎফর রহমানের নামে হবে মাগুরা ডায়াবেটিক হাসপাতাল। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতা এটিকে বাধাগ্রস্ত করছে। ডাক্তার লুৎফর রহমানের নামে হাসপাতালটির অনুমোদন ও রেজুলেশন কাগজ-কলমে থাকলেও নামের সাইনবোর্ড প্রকাশ্যে টানানো হচ্ছে না। এর কারণটা আমরা বুঝতে পারছি না, আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি ডাক্তার লুৎফর রহমান ডায়াবেটিক হাসপাতাল নামকরণ করার জন্য।

মাগুরা ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুনশী মো. ছাদুল্লাহ বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত রেজুলেশনের মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে। মাগুরা সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে নাম পরিবর্তন করা যাবে।

জেলা প্রশাসক ও মাগুরা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন, ডায়াবেটিস হাসপাতালের নাম সংযুক্তিকরণের বিষয় এই প্রথম শুনলাম এবং অবগত হলাম।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক জীবনী থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ছিলেন একজন বাঙালি সাহিত্যিক, সম্পাদক ও সমাজকর্মী। তার সমস্ত সৃষ্টির মূলেই রয়েছে মানুষের স্বরূপ অন্বেষণ ও সামাজিক কল্যাণবোধ। তিনি ‘ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জন্ম ১৮৮৯ মাগুরা মহকুমা (বর্তমান মাগুরা জেলা)। তার ব্যক্তিগত জীবনের অর্জন আহামরি কিছু না হলেও মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থায়ীভাবে আসন করে নিয়েছেন। ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান নামেই মানুষের কাছে বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি, পরাধীন ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণ করেও জাতির পশ্চাৎপদতা দূর করার জন্য লড়ে গেছেন। তাকে নিজের দারিদ্রের বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছে এমনকি অনাহারেও কাটাতে হয়েছে। আর মাত্র ৪৭ বছর বয়সে যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

ইএইচ