নেত্রকোণায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত

নেত্রকোণা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৪:০২ পিএম
নেত্রকোণায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত
ছবি: আমার সংবাদ

নেত্রেকোণায় দুপক্ষের সংঘর্ষে মজিবুর রহমান (৫৫) ওরফে ‘দাও’ মজিবুর নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত ও কমপক্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রবিবার দুপুরে নেত্রকোণা জেলার দুগার্পুর পৌরসভার দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার থানায় কোনো মামলা করেনি।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়ালের ছেলে আবিরের (১৯) সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে সুসং সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমানের ভাতিজা খায়রুল ইসলামের (২০) মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে আব্দুল আওয়ালের ছোটভাই শুটার শামীমের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন দুপুরে দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় মজিবুর রহমান ওরফে দাও মজিবুর ও তার লোকজনের ওপর হামলা করলে দুপক্ষের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুরুতর আহত মজিবুর রহমানকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে গুরুতর আহত আব্দুর রশিদ (৪৫) ও মুকসেদুর রহমানকে (৪৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আহত হয়ে দুগার্পুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- খাইরুল (২০), ফারুক মিয়া (২৩), নাঈম মিয়া (২০), সাগর (২২) ও বাকী আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিরিশিরি ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত মজিবুর একজন পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলেন। এই সন্ত্রাসী বাহিনী এক বছর আগে কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা উপজাতি সুব্রত সাংমাকেও একই কায়দায় হত্যা করেছে। আজকের এই হত্যাকাণ্ড বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী আওয়াল বাহিনীর লোকেরাই করেছে, আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. রকিবুল হাসান বলেন, মজিবুর রহমানকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসে তার লোকজন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম কুমার দেব বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় মজিবুর রহমান নামে একজন নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেনি।

ইএইচ