কালিয়াকৈরে মহাসড়কের ওপর দোকান বসিয়ে জমজমাট বাণিজ্য

দেলোয়ার হোসেন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
কালিয়াকৈরে মহাসড়কের ওপর দোকান বসিয়ে জমজমাট বাণিজ্য
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মহাসড়কের লোকাললেন ও ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির জমজমাট বাণিজ্য চলছে। 

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাজার রোড, কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ থেকে ফুলবাড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত মহাসড়কের দুপাশে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে, মহাসড়ক, লোকাললেন ও ফুটপাতে ফ্লাইওভারের নীচে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় মহাসড়কের দুইপাশে ভাসমান দোকান বসিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র।

এসব ভাসমান দোকান থেকে প্রতিদিন ১শত টাকা থেকে ৫শত টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় চাঁদাবাজদের নিযুক্ত প্রতিনিধি এসে এসব ভাসমান দোকানিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে নিয়ে যায় বলে সফিপুর ফ্লাইওভারের নীচের আলমিন নামের এক ভাসমান দোকানি আমার সংবাদকে জানিয়েছেন।

এসব ভাসমান দোকানের কারণে নির্বিঘ্নে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ঘনঘন যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনাতো স্বাভাবিক ঘটনা। এসব ভাসমান দোকানের কারণে পথচারীরা ফুটপাত দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না। এসব এলাকায় ভাসমান দোকানের কারণে বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোকাললেনে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ফলে সিএনজি ও অটোরিকশাসহ ছোট-ছোট যানবাহনকে বাধ্য হয়ে মহাসড়কে চলাচল করতে হয়। অবৈধভাবে মহাসড়কে চলাচল করায় অনেক সময় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় এসব যানবাহনকে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কালিয়াকৈর শাখার সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবস্থা দেখে মনে হয় এসব দেখার কেউ নেই। তিনি দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় বন্ধ করার দাবি জানান।

নাওজোর হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহাদত হোসেন বলেন, খুব দ্রুত এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলে বড় ধরনের অভিযানের মাধ্যমে মহাসড়ক, ফুটপাত, লোকাললেন ও ফ্লাইওভারের নীচ থেকে ভাসমান দোকানগুলো অপসারণ করা হবে।

ইএইচ