জীবিকার তাগিদে দুই বছরের শিশু কন্যাকে বাড়িতে মায়ের কাছে রেখে ঢাকায় রওয়ানা হয়েছিলেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ৬নং ওয়ার্ড নীলকমল গ্রামের শাহজল হক দালালের মেয়ে মোসাম্মদ নুপুর বেগম ও আবদুল্যাহ দম্পতি।
মঙ্গলবার দুপুরে চরফ্যাশন থেকে ঘোষেরহাটের লঞ্চযোগে রওনা দিয়ে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে লালমোহনের দেবীরচর ঘাটে পৌঁছান তারা। এরই মধ্যে বাড়ি থেকে শিশু কন্যার কান্নাকাটির সংবাদ আসলে দেবীরচরে ঘাটে নেমে যান এ দম্পতি।
নুপুর বেগম বলেন, দেবীরচর থেকে অটোরিকশাযোগে লালমোহন রওয়ানা দিলে পথিমধ্যে বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ মেলকারের ভাগিনা সুজন ও স্থানীয় নাইমসহ কয়েকজন মিলে আমাদেরকে অটোরিকশা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে নেয় এবং স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে একলক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় দফায় দফায় মারধর করা হয় আমার স্বামীকে।
নুপুর বেগম আরও বলেন, হামলাকারীরা আমার কানের দুল, আংটি, গলার চেইন, ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা নগদ ত্রিশ হাজার টাকা ও স্বামীর দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এরপরও বাড়ি থেকে আরও টাকা এনে দিতে বললে বিকাশে দশ হাজার টাকা এনে দেই। পরে আমাদেরকে ছেড়ে দিয়ে স্থানীয় একটি মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ মেলকার বলেন, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে ভুক্তভোগীকে মামলা করতে বলেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নুপুর বেগম বাদী হয়ে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করতে আসেন। তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাহবুব উল আলম অনুপস্থিত থাকায় তা অভিযোগ আকারে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগের তদন্তে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা লালমোহন থানার এসআই লিটন।
ইএইচ