পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অভিষেক

রাঙামাটি প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অভিষেক
ছবি: আমার সংবাদ

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটিতে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকালে শহরের বনরূপা চৌমুহনী চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।

পরে আনন্দ শোভাযাত্রা পরবর্তী আলোচনা সভা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদত হোসেন কায়েশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিব আজমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পিসিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, পিসিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ, রুহুল আমিন, আব্দুল কাইয়ুম, রাঙামাটি জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আসাদুল্লাহ্ আসাদ, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, বান্দরবান জেলা সভাপতি আসিফ ইকবাল, খাগড়াছড়ি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাহাড়ের দুর্গম ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বসবাস করেও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি জনগোষ্ঠী কোটা-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পার্বত্য বাঙালিরা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থানের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। পার্বত্যাঞ্চলের প্রেক্ষাপটে বাঙালিদের জন্য কোটা-সুবিধা অর্ধেক হওয়া উচিত। বাঙালিরা এখানে অবহেলিত, প্রান্তিক এবং দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। এজন্য পিছিয়ে পড়া ও রক্ষিত পাহাড়ি বাঙালিদেরও কোটার আওতায় আনতে হবে।

এ সময় বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপির সাত দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা বরাদ্দ দিতে হবে, উপজাতি কোটা সংশোধন করে পার্বত্য কোটা চালু করে পাহাড়ি ও বাঙালি সকলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার, হস্তান্তরিত বিভাগসহ সকল নিয়োগ পাহাড়ি-বাঙালি জনসংখ্যা অনুপাতে হতে হবে। শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে জনসংখ্যা অনুপাতে বৃত্তি দিতে হবে। তিন পার্বত্য জেলায় অন্যান্য সম্প্রদায়ের ন্যায় বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ীভাবে ছাত্রাবাস নির্মাণ করতে হবে। উপজাতিরা সমগ্র বাংলাদেশে বসবাস, চাকরি, ব্যবসা ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে; তেমনি তিন পার্বত্য জেলায় অন্য ৬১ জেলার নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি ক্রয় করে,ভোটার হওয়ার মাধ্যমে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে।

তিন পার্বত্য জেলায় মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৬টি উপজেলায় সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো সমুন্নত করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে বিমানবন্দর স্থাপনসহ তিন পার্বত্য জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনার দাবি জানান। উক্ত দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেন জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রপরিষদের নেতারা।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ইএইচ