পেকুয়ায় রেঞ্জ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম
পেকুয়ায় রেঞ্জ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুটি বাজারে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম সাইদুর রহমানের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রেঞ্জ কর্মকর্তার নিয়োগকৃত দুই কথিত ক্যাশিয়ার পেকুয়া বাজার ও আরবশাহ বাজারে অবৈধভাবে চোরাই গাছ ও কাঠবাহি ট্রলি এবং পিকআপ গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা উত্তোলন করছে।

সরেজমিন ঘুরে ও অনুসন্ধানে চাঁদাবাজির তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, প্রতিদিন দিনে ও রাতে উপজেলার বিভিন্ন করাতকলে বাঁশখালী, চকরিয়া, লামা ও আজিজ নগর থেকে পিকআপ ও ট্রলিতে করে অবৈধ গাছ এনে মজুত করা হয়। আর এসব গাছ ভর্তি প্রতিটি গাড়ি থেকে পেকুয়া বাজারে মাহমদ নামের এক ব্যক্তি ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা উত্তোলন করেন।

রেঞ্জারের নামে গত এক বছর ধরে পেকুয়া বাজারে গাছ-কাঠবাহী ট্রলি ও পিকআপ থেকে চাঁদা উত্তোলন করছেন মাহমদ। আর মাহমদের উত্তোলিত চাঁদার টাকা থেকে নির্দিষ্টহারে ভাগ পৌঁছে দেওয়া হয় ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম সাইদুর রহমানের কাছে।

অপরদিকে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী আরবশাহ বাজার থেকে চাঁদার টাকা উত্তোলন করেন নুরুন্নবী নামের এক ব্যক্তি। তিনি প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০-১০০ টাকা উত্তোলন করে।

এবিষয়ে নুরুন্নবী বলেন, টাকা তুলে রেঞ্জারকে দিতে হয়। দৈনিক হাজার দেড়েক টাকা পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গাছ ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা এক প্রকার জিম্মি। চাঁদা না দিলে গাছ ও গাড়ি জব্দ করে। ঝুটঝামেলা থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিতে হয়।

ক্যাশিয়ার নিয়োগ দিয়ে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম সাইদুর রহমান জানান, আমি কাউকে ক্যাশিয়ার হিসেবে নিয়োগ দেইনি। আমার নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।

ইএইচ