চোখে-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণ’

খুলনা ব্যুরো প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
চোখে-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণ’

খুলনার পাইকগাছায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে চোখে-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে এক গৃহবধূকে (৪৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাইকগাছার রাড়ুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, রোববার রাতে কে বা কারা মই দিয়ে ছাদে উঠে সিঁড়ির দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে গৃহবধূর শোবার ঘরে ঢোকেন। ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তিনি ওই বাড়িতে ছিলেন। দুর্বৃত্তরা ওই গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে চোখে সুপারগ্লু ও মুখে টেপ লাগিয়ে রেখে গণধর্ষণ এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। এ সময় তারা ওই গৃহবধূর কানের স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যায়। পরে গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তার স্বামীকে খবর দেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, গৃহবধূকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা বা সুপারগ্লু দিয়েছে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে় তদন্ত শুরু হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একাধিক লোক আমি বাইরে থাকার সুযোগে আমার বাড়ি প্রবেশ করে। তারা আমার স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও ডাকাতি করেছে। এখন আমার স্ত্রী কথা বলতে পারছে না। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. কনক হোসেন বলেন, সকালে ভুক্তভোগী নারী যখন আসেন তার দুই চোখের পাতা আঠা দিয়ে লাগানো ছিল। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। গাইনি ও চক্ষু বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ নন। তবে আশা করছি দ্রুত তিনি স্বাভাবিক হতে পারবেন।

এআরএস