ইসলাম পরিবহণ বাসের চাপায় মোটর সাইকেল চালক আলী হাওলাদার (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী-কুয়াকাটা সড়কের সৈকত ফিলিং স্টেশনের সামনে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে।
পুলিশ ঘাতক বাস, মোটরসাইকেল ও নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘাতক বাসের চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে। অপর দিকে তারিকাটা নামক স্থানে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার খাদে পড়ে চারজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানাগেছে, আমতলী পৌরসভার লোচা গ্রামের মোশাররফ হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদার (১৮) বাড়ী থেকে নিজের মোটর সাইকেল চালিয়ে শহরের একটি পার্সের দোকানে যাচ্ছিল। একই দিক থেকে ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহণ বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৩-২০৪৬) আসতেছিল।
পথিমধ্যে সড়কের সৈকত ফিলিং স্টেশন দ্রুত অতিক্রম করতে গিয়ে ঘাতক বাসটি পিছন থেকে মোটর সাইকেলটিকে চাপায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটর সাইকেল চালক আলী হাওলাদার নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহত আলী হাওলাদারকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেছেন।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পরপরই বাসটির চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে। নিহত মোটর সাইকেল চালক আলী হাওলাদার তার চাচাতো ভাই জাহিদ হাওলাদারের পার্সের দোকানে কাজ করতো। অপর দিকে আমতলী-তালতলী সড়কের তারিকাটা নামক স্থানে মোটর সাইকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালকসহ চারজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তামিম, মেহেদী হাসান ও রিফাতকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ঘাতক ইসলাম পরিবহণ বাসটি পিছন থেকে মোটর সাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটর সাইকেল চালক নিহত হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার গোলাম রাব্বি বলেন, নিহত আলী হাওলাদারকে হাসপাতালে আনার পূর্বেই মারা গেছে। অপর আহত চারজনের তিনজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।
এইচআর