কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীর নিবাস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী, ঢালাইয়ে মাপে কম দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে উপজেলায় ৩৬ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা। ৬টি লটে ৩৬টি বীর নিবাস নির্মাণের জন্য আলাদা আলাদা ৬ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ৫নং লটের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
কথা হয় অভিযোগকারী অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ব্যাপারী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আমারমতো গরীব মুক্তিযোদ্ধার জন্য ঘরের বাজেট দিয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার হারুন অর রশিদ ঘরের ঠিকাদারি নিয়ে আমার সঙ্গে ঝামেলা শুরু করেছে। আমার বাড়িতে ঘর নির্মাণের জন্য ইট, খোয়া ও বালু এনেছে। সবগুলো নিম্নমানের। আমি এ কারণে অভিযোগ দিয়েছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমার এখানে ঠিকাদার যে মালামাল এনেছে সব নিম্নমানের। তাই আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি’।
সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান আলী জানান, এরই মধ্যে আমরা তদন্ত শেষ করেছি, লিখিত করে তদন্তের প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিল করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, বীর নিবাস নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ