ফেনীতে গত দুই বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩ হাজারের মতো। জেলার বিগত তিন বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের মধ্যে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা হলেও সে বছর এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। এরপর ২০২১ সালে এসএসসির শুধু গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে সময় ও নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়া হয়।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২২ সালে পূর্ণ সময় ও নম্বরে নেয়া মাধ্যমিক পর্যায়ের এ পাবলিক পরীক্ষা। ওই বছর ফেনীর ৬টি উপজেলা থেকে অংশ নেয় ২০ হাজার ৯৫৩ পরীক্ষার্থী। পরের বছর ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নেমে আসে ১৮ হাজার ৪৮২ জনে। চলতি বছর (২০২৪ সাল) সেই সংখ্যা আরও কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৭ হাজার ২৪৪ জনে।
সূত্রের দাবি, দাখিল ও ভোকেশনালে শিক্ষার্থীর সংখ্যার একটি সমন্বয় থাকলেও এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের।
তবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান, কোভিডের সময়ে প্রতিটি শ্রেণিতেই শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ওই সময়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ওপর যে প্রভাব পড়েছে তা এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলার দাগনভূঞা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া আজাদ বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সময় যেসব শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল এবার তারাই এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ওই সময় ঝরে পড়ার পর এ ব্যাচে শিক্ষার্থী সংখ্যা আর বাড়েনি। একইভাবে ওই মহামারির সময়ের নবম, অষ্টম ও সপ্তম শ্রেণির ব্যাচ যথাক্রমে ২০২২, ২৩ ও ২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।’
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফী উল্লাহ বলেন, কোভিডের সময় দেশজুড়ে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, তার প্রভাবে এবারের এসএসসিতে এ সংখ্যায় এসে দাঁড়িয়েছে। আশা করি, আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
ইএইচ