ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের হাজীগঞ্জ বাজারে দুর্ধর্ষ কায়দায় তিনটি স্বর্ণকারের দোকান, একটি তিনতলা বিল্ডিংয়ের বাসায় ডাকাতি হয়েছে। প্রায় ত্রিশ চল্লিশজনেরও একটি ডাকাতদল একটি ট্রলারযোগে পদ্মা নদী পথে এসে নৈশ প্রহরীদের বেঁধে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতদল বাজার এলাকায় এ তাণ্ডব চালায়। অদূরেই পুলিশ থাকলেও ডাকাতিকালে তারা বিষয়টি টের পাননি বলে জানা গেছে।
সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির শিকার জুয়েলারি দোকানগুলো হলো- প্রফুল্ল কর্মকারের পুষ্পিতা জুয়েলার্স, শ্রীকান্ত কর্মকারের আশা জুয়েলার্স ও গোপিনাথ কর্মকারের নিউ সুজলা জুয়েলার্স এবং জুবায়ের মোল্লার বাসভবন।
স্থানীয়রা জানান, পাশের উপজেলা সদরপুরের আটরশিতে ওরস উপলক্ষ্যে নৌপথ ও সড়কপথে গভীর রাতে কিছু লোকের চলাচল ছিল। ডাকাতেরা রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই বেঁধে রেখেছে। খবর পেয়ে লোকজন তাদের উদ্ধার করে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রফুল্ল কর্মকার, শ্রীকান্ত কর্মকার ও গোপীনাথ কর্মকার বলেন, ঘটনার সময় তারা কেউ দোকানে ছিল না। খবর পেয়ে রাতে বাজারে এসে দেখেন তাদের দোকানের সাটারের তালা কেটে সিন্দুক ভেঙে সবমিলিয়ে সাড়ে দশ ভরি স্বর্ণালংকার, চারশো কুড়ি ভরি রৌপ্যালংকার ও এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা লুট করেছে তারা।
এ ব্যাপারে চর হাজীগঞ্জ হাট বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি কবিরুল আলম ব্যাপারী বলেন, ত্রিশ থেকে চল্লিশজন ছিল ওই ডাকাতদলে। রাত একটার দিকে চারজন নৈশ প্রহরীর হাত পা বেঁধে বণিক সমিতির অফিসের তালা কেটে সেখানে আটকে রাখে। তারপর ডাকাতি শুরু করে।
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, কয়েকটি দোকানের তালা ভাঙার খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে মালামাল নিয়ে গেছে বলে তারা অভিযোগ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ