বরগুনার পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগ নেতা মো: জাহারুল সিকদারের ছেলে মহিউদ্দিন সিকদার বাবুকে (২৫) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
মহিউদ্দিন সিকদার বাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুদ রানা জানান, বাবুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে দশটির বেশি ধারালো অস্ত্রে কোপের চিহ্ন রয়েছে।
মহিউদ্দিনের বাবা পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ`লীগের সভাপতি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র আ`লীগ দুই অংশের নেতারা পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আহত বাবুর চাচা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আকন মোহাম্মদ শহিদ সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান এমপি সুলতানা নাদিরার মেয়ে ফারজানা সবুর রুমকির ইন্ধনে সন্ত্রাসী সুমন শীল ও তার সাংঙ্গপাঙ্গরা এ হামলা চালিয়েছে। তারা টোকাই, নাপিত, জাইল্লার ছেলেদের পরামর্শ নিয়ে চলে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে বাবুর স্বজনদের অভিযোগ অস্বীকার করে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে রাত ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে আ`লীগের উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা আ`লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও এমপি কন্যা ফারজানা সবুর রুমকি, উপজেলা আ`লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জুয়েলসহ নেতৃবৃন্দ।
এ সময় এমপি কন্যা রুমকি বলেন, মূল অপরাধীদের আড়াল করতেই একটি মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় জড়াচ্ছে। তিনি অপরাধীদেরকে অতিশিগগিরই আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে অনুরোধ জানান।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সুমন শীল, সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন, ইলিয়াসসহ কয়েকজন মিলে বাবুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এরপর থেকে পাথরঘাটা পৌর শহরে রণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত থাকলে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেনের জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ধ্যার দিক পাথরঘাটায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তেজিত ছিল। উভয় পক্ষের নেতাদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়।
অভিযুক্তদের আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। অপরাধীদের আড়াল করতে কোনো রাজনৈতিক চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, চাপ থাকতে পারে, তবে পুলিশের আইন প্রোয়োগে কোনো ধরনের চাপ নেই।
বিআরইউ